Published Paper Details:

BANGLA NATOKER PALABADAL : GANA NATTYA ANDALAN O BIJON BHATTACHARYER NATOK.

SEKH AZAHARUDDIN 

গণনাট্য, মাইলস্টোন, ফ্যাসিজম, মন্বন্তর, রিলিফ, মার্কসীয়, ডাস্টবিন, ভিক্ষাবৃত্তি, লাশ, অবক্ষয়, সাঁওতাল।

বিশ শতকের ত্রিশের দশক থেকে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার ভাঙ্গন লক্ষ করা যায়। পরিবর্তে ধনতান্ত্রিক বা পুঁজিবাদী শ্রেণির উদ্ভব ঘটে স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘদিন ধরে জমিদার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত সৌখিন নাট্যশালা তার পুরাতন গৌরব হারাতে থাকে, অন্যদিকে এই শতাব্দীর চল্লিশের দশকে অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বাংলা নাটকের ক্ষেত্রে এক ধরণের শূণ্যতা তৈরি হয়। এমত অবস্থায় একদল নাট্য প্রেমী মানুষ বাংলা রঙ্গমঞ্চে এক নতুন ভাবনার আমদানী করে; যেখানে সাধারণ জনগণের জীবনের সুখ-দুঃখ, ব্যথা-বেদনা, শোষণ-বঞ্চণা ও তাদের উত্তরণই নাটকের মুখ্য বিষয়। তাদের এই নব ভাবনায় পরবর্তীতে গণনাট্য আন্দোলনের সূচনা করে। এ প্রসঙ্গে অবশ্যই মনে রাখতে হবে গণনাট্য আন্দোলনের পুরোধা বিজন ভট্টাচার্যের কথা। তাঁর হাত ধরেই বাংলা নাটকের জগতে গণনাট্য আন্দোলনের জাগরণ ঘটে। তাঁর রচিত নবান্ন  নাটকই গণনাট্য আন্দোলনের মাইলস্টোন। নবান্ন  নাটকই প্রথম দেখিয়েছে সাধারণ রঙ্গালয়ের বাইরে গিয়েও সাধারণ মানুষের জন্য নাটক রচনা করা যায়। প্রথাগত দৃশ্যময়তা ও কৃত্রিমতা  বর্জন করে নাট্যসংলাপ ও চরিত্রায়নের মধ্যে দিয়েও নাট্যক্রিয়ার সৃষ্টি করা যায়। গিরিশচন্দ্র ঘোষের মতো নাট্যকার যেখানে সমসাময়িক সামাজিক বিষয় নিয়ে নাটক রচনা করাকে নর্দমা ঘাঁটার সঙ্গে তুলনা করেছেন সেখানে বিজন ভট্টাচার্য তাঁর নবান্ন নাটকে প্রমাণ করে দিয়েছেন সমসাময়িকতার সঙ্গে নাট্যচর্চার কোন  বিরোধ নাই। সাহিত্যের আর পাঁচটা শাখার মতো নাটকও সমকালীন বিষয় নিয়ে সাহিত্য রচনার দাবি রাখে। পরবর্তীতে বিজন ভট্টাচার্যের অবরোধ, জীয়নকন্যা, মরাচাঁদ, কলঙ্ক, গোত্রান্তর, ছায়াপথ, দেবীগর্জন প্রভৃতি নাটকে এই নবায়ত গণ সাংস্কৃতিকবোধকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID :  tirj/ October 22/article-29

Page No : 240-245

Published In :Volume 2, Issue 4

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License