Published Paper Details:

KAL PUJAR PUTHI : LOUKIK JIBON BHABNAR NIRJON SWAKKHRA.

 BUBUL SHARMA

বন্ধ্যানারী, ভুজপত্র, সর্বোৎকৃষ্ট, পূজা বিধি, লোক সংস্কার, ডাকমন্ত্র, ব্রহ্মদৈত্য, অলৌকিক।

অনেক প্রাচীনকাল থেকেই বরাক উপত্যকার বিভিন্ন গ্রামে ‘কাল’ দেবতার পূজা প্রচলিত। অনেকে বিভিন্ন মানত করে 'কাল' দেবতার পূজা দেন। তাদের বিশ্বাস 'কাল' দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তিনি ভক্তদেরকে কখনোই নিরাশ করেন না। গ্রাম বাংলার মানুষরা তাদের লোকয়ত আদর্শকে যুগ যুগ ধরে বহন করে চলেছে। ‘কালের পূজা বিধি’র পুথির মধ্য দিয়ে এক- একটা অঞ্চলের সমাজ-সংস্কৃতির নিবিড় দিকটি ফুটে ওঠে।

          আমরা জানি মানুষ সংবেদনশীল। মানুষকে প্রতিনিয়ত নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হয়। সেই জন্য মানুষের নানা দুঃখ- কষ্ট -যন্ত্রণা, রোগ -শোক ইত্যাদির সাথে মোকাবিলা করতে হয়। মানুষের এই স্বাভাবিক জীবন ধর্ম অনুযায়ী নানা কষ্টের হাত থেকে পরিত্রাণ পাবার আশায় বিভিন্ন লৌকিক দেব- দেবীর শরণাপন্ন হতে হয়েছে। কালের পূজা বলি ছাড়া অসম্পূর্ণ। কালের পূজায় সর্বোৎকৃষ্ট বালির উপকরণ কালো পাঁঠা ছাগল। সাধারণ পূজায় একটা পুরুষ  হংস, অতি সাধারণ পূজায় এক জোড়া কবুতর বলি দিতে হবে। পশু-পক্ষীর বলিকৃত রক্ত দ্বারা ভুজপত্রে উক্ত পুথির নিয়মানুসারে লিখে একটি কবচ নির্মাণ করে মাঁচার উপর রাখতে হয়। এই কবচ'ই মহামূল্যবান, এই কবচ ধারণে বন্ধ্যানারী সন্তান লাভ করে।

         কালের পূজার নিয়ম অন্যান্য লৌকিক দেবতা থেকে অনেকটা স্বতন্ত্র ৷ পশু-পক্ষী বলি দিয়ে সেই বলি রক্ত দ্বারা কবচ বানিয়ে পূজা শুরু করতে হয়। বংশ রক্ষার জন্য সাধারণত এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কালের পূজার শেষ পর্যায়ে চালান মন্ত্র দিয়ে কাল দেবতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য- ডাকমন্ত্র দ্বারা ‘কাল’ দেবতাকে আহ্বান করা হলেও চালন মন্ত্রের উল্লেখ পুথিটিতে নেই৷ মন্ত্র গুলির মধ্যে ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির প্রভাব লক্ষণীয় এবং ইসলামী কয়েকটি শব্দের ব্যবহারও লক্ষ্য করা যায়।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/ October 22/article-51

Page No : 425-435

Published In :Volume 2, Issue 4

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License