The multifaceted trend of realism in Bhagirath Mishra's contemporary Bengali short stories/ ভগীরথ মিশ্রের সমসাময়িক বাংলা ছোটগল্পে বাস্তববাদের বহুমুখী প্রবণতা
Keywords:
- ভগীরথ মিশ্র,
- বাংলা ছোটগল্প,
- সাধন চট্টোপাধ্যায়,
- অভিজিৎ সেন,
- সুচিত্রা ভট্টাচার্য,
- নলিনী বেরা,
- কিন্নর রায়,
- আফসার আমেদ,
- অমর মিত্র,
- তপন বন্দ্যোপাধ্যায়
Abstract
৭০-এর দশক অর্থাৎ স্বাধীনতার বাংলার রাজনীতিতে সবথেকে আলোচিত অধ্যায়। এই সময় যাঁদের সাহিত্য জগতে আবির্ভাব তাঁদের গল্পে সময়ের দাবি মেনে অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে বাস্তববাদের বহুমুখী প্রবণতা এসেছে। বহুমুখী প্রবণতা বলার কারণ বাস্তব কাহিনী বা প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে একজন লেখক তাঁর গল্পের কাহিনী নির্মাণ করেন, সেখানে শুধু বাস্তবতা নয়, বাস্তববাদ স্বভাবতই বিভিন্ন রূপে সেখানে আলাদা হয়ে গেছে। চল্লিশের দশকের পরবর্তী সাহিত্যে আমরা যে বাস্তবতা দেখতে পায় সত্তরের দশকের পরবর্তী ছোটগল্পগুলিতে তা সম্পূর্ণ আলাদা বাঁক নিয়েছে। এখানে যথাস্তিত বাদ বা Naturalism, সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদ বা Socialist Realism এবং জাদু বাস্তববাদ বা Magic Realism কে গল্পে আলাদা আলাদা মাত্রাই ব্যবহার করা হয়েছে। এবং সেই সময় দাঁড়িয়ে ছোটগল্পের কাহিনীর ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। একই সময়ে আবির্ভূত হওয়া দু’জন লেখকের সৃষ্টি সব সময় একই হয় না। তাঁরা আলাদা হয়ে যান মূলত তাঁদের জীবন দৃষ্টির নিরিখে। বলা ভালো, ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বাস্তববাদী গোষ্ঠীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর মাধ্যমে পাশ্চাত্যের যে বাস্তববাদের উদ্ভব হয়, বাংলা সাহিত্যে তার প্রভাব অনেক পরে এসেছে। প্রথম রবীন্দ্র সাহিত্যের বিরোধিতা করে কল্লোল যুগের কবি লেখকরা বাস্তবতাকে সাহিত্যে স্থান দেন। বিগত পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের সাহিত্যে যে বিষয়ে ভাবনা জায়গা জুড়ে বসেছিল তার একমাত্র এবং সমগ্র বিষয় ছিল নরনারীর দেহজ প্রেম, কাম ও কল্পনা নিয়ে বহুতল বিশিষ্ট অট্টালিকা নির্মাণ করা। সত্তরের দশকের পূর্বে যেসব লেখকদের ছোট গল্পে সমাজ, মনস্তত্ত্বঃ, অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ধরা পড়েছে এবং কথাসাহিত্যিক ভগীরথ মিশ্রের পূর্বসূরী হিসেবে আমরা যাঁদের গল্পে বাস্তববাদকে বেশ কিছুটা স্পষ্ট রূপে দেখেছি, তাঁদের কয়েকজনের গুটি কয় ছোটগল্প সম্পর্কে আমি আলোচনা করেছি। ভগীরথ মিশ্রের সমসাময়িক যেসব কথাসাহিত্যিকের ছোটগল্পে বাস্তবতা এসেছে নানা মাত্রায় বা বলা ভালো প্রচলিত ধারণাকে ভেঙ্গে যাঁরা পাঠক মনে নব ধারণা জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন তাঁদের সম্পর্কে আলোচনা করব। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সাধন চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৪), অভিজিৎ সেন (১৯৪৫), সুচিত্রা ভট্টাচার্য (১৯৫০), নলিনী বেরা (১৯৫১), কিন্নর রায় (১৯৫৩), আফসার আমেদ (১৯৪৮), অমর মিত্র (১৯৫১), তপন বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯৪৭), ঝড়েশ্বর চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮), দেবেশ রায় (১৯৩৬), স্বপ্নময় চক্রবর্তী (১৯৫২) প্রমুখ। এই তালিকা আরো অনেক বড় হতে পারে, বা এই নিয়ে গবেষণার কাজও হতে পারে, কিন্তু শব্দের সীমা মাথায় রেখে খুব স্বল্প পরিসরে আমি এঁদের কয়েকটি নির্বাচিত ছোটগল্প নিয়ে আলোচনা করব।
Downloads
References
১. চট্টোপাধ্যায়, সাধন, ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার, ১৬ মার্চ, ২০২০
২. মজুমদার, উজ্জল কুমার, ২০০৫, গল্প পাঠকের ডায়রি, বঙ্গীয় সাহিত্য সংসদ, পৃ. ২৩৫
৩. বেরা, নলিনী, ‘শ্রীকান্তের পঞ্চম পর্ব’, শ্রেষ্ঠ গল্প, করুনা প্রকাশনী, কলকাতা, বইমেলা ২০০৩, পৃ. ৫২
৪. ‘দেবেশ রায়ের ছোট গল্প : ভিন্ন ধারার নির্মাণ’, শমীক রায়, বাংলা ছোট গল্প পর্যালোচনা-বিশ শতক, সম্পা. শ্রাবণী পাল, অক্ষর প্রকাশনী ২০১৬, পৃ. ৫৯৫
৫. রায়, দেবেশ, আগস্ট ২০১৯, ভূমিকা, ঝড়েশ্বর চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প, দে’জ পাবলিশিং, পৃ. ১২
৬. চক্রবর্তী, স্বপ্নময়, ২০১১, ভূমিকা, সেরা ৫০ টি গল্প, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা।
৭. মিশ্র, ভগীরথ, জানুয়ারি ২০২৩, লেখকের কথা, গল্পসমগ্র, দে’জ পাবলিশিং, পৃ. ১৭