Published Paper Details:
PAJITIVIJAMER ALOKE SUNIL GANGAPADHYAER CHOTOGOLPA ‘GARAM VAT ATHABA NICHAK VUTER GOLPA.
PUJA BHUINYA
পজিটিভিজম, অলৌকিক, কু-সংস্কার, ভূত, আত্মা, বিজ্ঞান, দৈব, ওঝা, পরহিতব্রত।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর রচিত একাধিক ছোটগল্পের মধ্যে একটি জনপ্রিয় ছোটগল্প ‘গরমভাত অথবা নিছক ভূতের গল্প’। যাকে কেন্দ্র করে ২০০৭ সালে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। গল্পটির মূল প্রেক্ষাপট ক্ষুধা ও বাঁচার আকুতি হলেও আরও একটি বিষয় গল্পে প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। আর তা হল গ্রামীণ সমাজের অলৌকিক বিশ্বাস ও কু-সংস্কার। আর এই বিষয়টিকে আমরা কোঁতের পজিটিভিজম থিওরি দ্বারা ব্যাখ্যা করতে পারি। অগাস্ট কোঁত পজিটিভিজম তত্ত্বের জনক। শিল্পায়নের শুরু থেকেই সমাজ গঠনের কাঠামোতে বিজ্ঞানের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। আর তার ফলে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, কোনো দৈব বা অতিপ্রাকৃত শক্তির দ্বারা নয়, বরং প্রকৃতির সবকিছুই নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চলে। সুতরাং কোনো কিছুকেই রহস্য না ভেবে, পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষণ দ্বারা তার পিছনের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা সম্ভব। আর এই বিশ্বাসকেই বলা হয় পজিটিভিজম বা দৃষ্টবাদ বা প্রত্যক্ষবাদ বা প্রামাণিকবাদ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘গরমভাত অথবা নিছক ভূতের গল্প’ তে এই তত্ত্ব লক্ষ্য করা যায়। এবং গল্পের এক পর্যায়ে গিয়ে আমরা দেখতে পাবো সুরেন্দ্রর তৎপরতায় বিজ্ঞানের জয় হয়েছে। গল্পের শুরু হয়েছে একদল জোয়ান ছেলেদের ভূত কেনার গানের মধ্য দিয়ে। এদের নেতা সুরেন্দ্র। সে শহরে থাকে, সেখানেই কাজকর্ম করে। শনি ও রবিবার সে গ্রামে আসে। ভূত কেনা তার চালানি ব্যবসা। সে একশো টাকায় ভূত কিনে আড়াই শো টাকায় শহরের এক বাবুর কাছে বিক্রি করবে বলে জানায়। কিন্তু এর পুরোটাই বাহ্যিক বিষয়। এর আড়ালে লুকিয়ে আছে সুরেন্দ্রর এক বৃহৎ ও মহৎ উদ্দেশ্য। সুরেন্দ্র আসলে চেয়েছিল গ্রামের মানুষের মন থেকে কু-সংস্কার দূরীকরণ করতে। সে ফাদার পেরেরার কাছে প্রাথমিক ডাক্তারি চিকিৎসা বিদ্যা শিখেছে। গ্রামের মানুষের বেশিরভাগ অসুখই চাপা পড়ে যায় অতিপ্রাকৃত বিশ্বাসে। সুরেন্দ্রর গ্রামের মানুষের ভূত বা আত্মাকে কেন্দ্র করে একাধিক বিশ্বাস পরিলক্ষিত হয়। সুরেন্দ্র গ্রামে এসে প্রথম দিকে মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিল যে, আত্মা বলে কিছু নেই। কিন্তু গ্রামের মানুষ তা বিশ্বাস করতে নরাজ। তাই সে ভূতের সন্ধানে ছিল, বলা ভালো ভূতে ধরার আড়ালে এইরকম রুগীর সন্ধানে, যাদের সে সেবা করতে পারবে। যারা দৈব বিশ্বাসের ফলে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। আজও গ্রামীণ এলাকায় মানুষ ডাক্তারের থেকে ওঝাকে বেশি বিশ্বাস করে। এই সকল বিষয়গুলিকে সামনে রেখে আমরা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘গরমভাত অথবা নিছক ভূতের গল্প’ বিশ্লেষণ করতে পারি।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/ April23/article-8
Page No : 52-58
Published In :Volume 3, Issue 2
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848