Published Paper Details:
BANGLA CHARAR ITIHASH : SWARUP O PRAKRITI.
PADMINI CHAUDHURI MONDAL
ছড়ার উপকরণ, গঠন, বর্ণ, ছড়ার স্টাইল, ছড়ার ছন্দ, ছড়ার উদ্ভব, পরিবর্তন।
আমাদের দেশের কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজে যে ঐতিহ্যবাহী জীবনযাত্রা প্রচলিত আছে, লোকসাহিত্য তার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। লোকসাহিত্য বলতে মূলত লোক মনস্তত্ত্বকেই বোঝানো হয়। দৈনন্দিন জীবনের কর্মক্লান্তি ঘোচাতে গতরে খেটে খাওয়া নিরক্ষর মানুষ তাদের জীবনের নানান পাওয়া-না পাওয়াকে মুখে মুখে গান, ছড়া ও প্রবাদ, ধাঁধা ইত্যাদি রচনার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করতেন, এই জাতীয় মৌখিক রচনাকেই সাধারণত লোকসাহিত্য বলা হয়ে থাকে। ছড়ার আদি উৎস লৌকিক। সর্বকালের সাহিত্যের একটি বিশেষ জনপ্রিয় শাখা হল ছড়া। সংস্কৃতির নানা অঙ্গের সঙ্গে ‘ছড়া’র সুনিবিড় যোগ রয়েছে। মূলত মুখে মুখে রচিত অন্ত্যমিল যুক্ত ছোট আকারের পদ্যকে ‘ছড়া’ বলা হয়। এগুলি সাধারণত দুই, চার, ছয়, আট চরণে নির্মিত। এর চেয়ে বড়ো ছড়া খুব বেশি পাওয়া যায় না, কারণ আকারে বড় হলে স্মরণে রাখা সবসময় সম্ভব হয় না। ছড়ার কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। অন্নদাশঙ্কর বলেছেন -
“ছড়া যদি কৃত্রিম হয় তবে তা ছড়াই নয়, তা হালকা চালের পদ্য। তাতে বাহাদুরি থাকতে পারে, কারিগরি থাকতে পারে, কিন্তু তা আবহমানকাল প্রচলিত খাঁটি দেশজ ছড়ার সঙ্গে মিশ খায় না। মিশ খাওয়ানোটাই আমার লক্ষ্য। যদি লক্ষ্যভেদ করতে পারি তবেই আমার ছড়া মিশ খাবে, নয়তো নয়।”
অর্থাৎ বোঝা যায় তিনি ছড়ার উপকরণ, গঠন, বর্ণ ইত্যাদি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যে ইঙ্গিত করেছেন। আলোচ্য প্রবন্ধটিতে ছড়ার ব্যুৎপত্তি, ছড়ার ভাষা, ছড়ার কায়া নির্মাণ, ছড়ার ছন্দ ও ছড়ার উদ্ভব ও পরিবর্তন বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হবে।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/ April23/article-32
Page No : 241-248
Published In :Volume 3, Issue 2
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848