Published Paper Details:
SHAKTIPADA RAJGURUR UPONNYASE ARANNYA O ADIBASHI JIBON.
HARIPADA HEMBRAM
শক্তিপদ রাজগুরু, অরণ্য, আদিবাসী, সাঁওতাল, সমাজ, আদর্শ সাহিত্যিক, সংকট, অন্যায়- অবিচার, অরণ্য-সভ্যতা।
শক্তিপদ রাজগুরু ছিলেন বৈচিত্র্যের অনুসন্ধানী। সমাজ জীবনের নানা শ্রেণির মানুষের সুখ দুঃখের, দৈনন্দিন জীবনের ব্যথা বেদনার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। চোখে দেখা, মনে ধরা চরিত্রগুলিকে তার সৃষ্টি উপন্যাসগুলিতে রূপ দিয়েছেন। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট রচনায় বৈচিত্র্য যেমন এসেছে। তেমন মানব চরিত্র রূপায়নেও সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। তিনি যা দেখেছেন, তাই লিখেছেন। যা দেখেননি তা লেখেননি। দীর্ঘ সত্তর বছরের সাহিত্য জীবনে তিনি প্রয়া তিনশোর বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন। বহু নামী দামী পত্র-পত্রিকায় তাঁর বহু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। মানুষ হিসেবে বড় মাপের মানুষ। তিনি সহজ সরল জীবন যাপন করতেন এবং মমত্ববোধ যেমন তার লেখায় ফুটে উঠেছে, তেমনি গ্রাম-শহর-জঙ্গল ও অরন্য প্রেমী আদিবাসী সকল মানুষের জীবন সংগ্রামকে মর্যাদা দান করেছেন সাহিত্য আর সিনেমার মধ্য দিয়ে। আর এভাবেই একবর্ণময় ব্যক্তিত্বের খ্যাতি শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, সারা ভারতে ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
শক্তিপদ রাজগুরুর জন্ম ১৯২২ সালে বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত বড় জোড়া থানার গোপবান্দী গ্রামে।৯২ বছরের আয়ুস্কালে, সত্তর বছরের সাহিত্য সাধনায় নিমগ্ন থেকে তিনি ছোট গল্প উপন্যাস মিলিয়ে ২৪৫টি রচনা সম্পূর্ণ করেছেন। স্বীয় প্রতিভাগুনে তথা কর্মদক্ষতার বলে তিনি বাংলা সাহিত্যাকাশে এমনকী চলচ্চিত্র জগতেও বিশেষ স্থান অধিকার করে নেন। তার উপন্যাসে বেশিরভাগের প্রেক্ষাপটই নবগঠিত গ্রামবাংলা বা কলোনী ও অরন্য কেন্দ্রিক। তিনি তাঁর উপন্যাসে দেশ-কালের বিচিত্র রূপও পরিবর্তনের বহু ঘটনা চিত্রিত করেছেন। রাজতন্ত্র, জমিদারি প্রথা, পুঁজিপতি শ্রেণি, গ্রাম কেন্দ্রিক কুটির শিল্পের শ্রমিক, খনি ও কলকারখানার শ্রমজীবী, অরন্যে বসবাসকারী আদিবাসী, স্বাধীনতাকালে মুষ্টিমেয় চরম সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতাদের উত্থান, জঙ্গলমহল ও সুন্দরবন অঞ্চলের উন্নয়নের অভাবে সেখানকার মানুষের করুণ দুর্দশা এবং সর্বোপরি নিজ জেলা বাঁকুড়ার ব্রিটিশ থেকে বামফ্রণ্ট আমল পর্যন্ত অভিজ্ঞতা তিনি তার গল্প, উপন্যাসে তুলেধরেছেন।
শক্তিপদ রাজগুরুর একাধিক উপন্যাসের মধ্যে অরণ্য ও আদিবাসী জীবন কেন্দ্রিকগুলো হল, ‘শবরীর তীর হতে', ‘বাসাংসি জীর্নানি' (১৯৬৬), ‘হাতি বোঙার অরণ্য' (১৯৮৬), ‘আদিম আশ্রম' (১৯৮৫), ‘কিছু পলাশের নেশা' (১৯৮৯), ‘বনে বনান্তরে' (১৯৮৯), ’নীল নির্জন' (১৯৯০), ‘কাঁসাই এর তীরে' (১৯১৬),““সওদাগর” (২০০৪), ‘রায়মঙ্গল' (১৯১২)। উত্তরবঙ্গের আরণ্যক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে ‘অনুসন্ধান’, ‘অনিকেত’, ‘উত্তরের পাখি’, প্রভৃতি। এছাড়াও সুন্দর বনের প্রেক্ষিতে ‘রায়মঙ্গল’‘,নয়াবসত,’‘নোনাগাঙ’, ‘খলসেমারির গঞ্জ’, ‘গহিন গাঙ’,‘চরহাসিল’ইত্যাদি গ্রন্থ তিনি রচনা করেন।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/ April23/article-22
Page No : 150-157
Published In :Volume 3, Issue 2
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848