Published Paper Details:

Rabindranather ‘Nouka Dubi’ : Naritya O Satityer Sanghat.

Sarada Bishnu

রবীন্দ্রনাথ, উপন্যাস, সংসার জীবন, নর–নারী, চোখের বালি, নৌকাডুবি

চোখের বালি’ (১৯০৩) উপন্যাসের নর–নারীর অন্তর্জগতের ঘাত–প্রতিঘাত ও ক্রিয়া–প্রতিক্রিয়ার, মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণের পথ পরিত্যাগ করে ‘নৌকাডুবি’ উপন্যাসে ব্যক্তি জীবনের সমস্যার সঙ্গে সংসার ও সমাজ জীবনের সমস্যাকে বিজড়িত করে দিলেন রবীন্দ্রনাথ। ‘চোখের বালি’–র কাহিনী নির্মাণে বহির্জগতের ঘটনা অপেক্ষা মানুষের মনোজগতের অর্থাৎ নর–নারীর মনের কারখানায় রবীন্দ্রনাথ প্রবেশ করেছেন। ‘চোখের বালি’–র তিন বছর পরে রচিত উপন্যাসে পুনরায় যেন বহির্জগতের ঘটনা নর–নারীর দাম্পত্য জীবনে ও সংসার জীবনে এক কৌতুককর দৈব দুর্বিপাক সংঘটিত সমস্যার সৃষ্টি করেছিলো। দৈব দুর্বিপাকে নৌকাডুবি ঘটেছে। ফলে নব বিবাহিতা কমলা–রমেশ নামে এক যুবকের পাশে স্থান পেয়েছে মূর্ছিত অবস্থায়। ‘নৌকাডুবি’–র ফলে রমেশ–হেমনলিনী এবং নলিনাক্ষ–কমলা এই চারজন নর–নারীর জীবন ওলট–পালট হয়ে যায়। রমেশের বাগদত্তা ছিল হেমনলিনী। হেমনলিনী সে নলিনাক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল এবং নলিনাক্ষের নববধূ কমলা যুক্ত হয়ে গেল রমেশের সঙ্গে। ভাগ্যের পরিহাসে কমলা হারিয়েছিল তার স্বামী নলিনাক্ষকে এবং অপর নৌকায় বরবেশী রমেশ হারিয়েছিল তার নববধূ সুশীলা–কে। যাই হোক, নববধূ কমলা রমেশকে স্বামী ভেবে তার সঙ্গে নতুন সংসার জীবন শুরু করে দিল। এইভাবে এক কৌতুককর রোমান্সধর্মী ‘নৌকাডুবি’ উপন্যাসের প্লট–টি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে। উপন্যাসটির শিরোনামে ‘নৌকাডুবি’ শব্দটিকে বসিয়ে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ তাঁর অসতর্ক মুহূর্তের সৃষ্টি ‘নৌকাডুবি’ উপন্যাসে বিবাহিতা নারী মনে সতী সংস্কার অর্থাৎ স্বামী সংস্কার–কে এক নতুন মাত্রা এনে দিলেন।

Paper ID : tirj/October21/article-1

Page No : 1 - 5

Published In : Volume – 1, Issue – 04, October 2021

DOI (Digital Object Identifier) : http://doi.one/10.1750/TIRJ.30500

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License