Published Paper Details:

MURSHIDABAD ZILAR CHAI SAMAJER BHASHA.

TUKTUKI HALDAR     

মুর্শিদাবাদ জেলা, চাঁই সম্প্রদায়, চাঁই জনগোষ্ঠীর অবস্থান এলাকা, বাংলা ভাষা, মৈথিলী ভাষা, ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, শব্দভাণ্ডার, চাঁই ভাষার নমুনা, চাঁই ভাষার ভবিষ্যৎ

চাঁই সম্প্রদায় বঙ্গদেশের জনজাতি নয়। তারা বিহার থেকে বঙ্গদেশে আগত। তাদের আগমন ঘটেছে নবাব বাদশাহদের হাত ধরে, নবাবদের প্রয়োজনে। মুর্শিদকুলি খাঁ ও তৎপরবর্তীকালে নবাব সরকারের সমরবাহিনীর কাজে চাঁই সম্প্রদায়কে মুর্শিদাবাদে আনা হয়। মোটামুটি ৬০ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যায় নবাবী জামানা। শাসন চলে যায় ব্রিটিশ কোম্পানির হাতে। ভেঙে যায় দেশীয় সামরিক বাহিনী। ফলত নবাবী আমলে আসা চাঁই সম্প্রদায় কর্মহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু তারা ফিরে যায়নি তাদের স্বদেশ বিহার ও উত্তরপ্রদেশে। বাংলায় থেকে গেছে। বাসস্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে গঙ্গা-পদ্মা ও ভাগীরথীর মত বড় নদীতীরবর্তী এলাকা। চাঁই সম্প্রদায় অবঙ্গবাসী হয়েও এখন তারা বঙ্গবাসী এবং তারা সাধারণভাবেই দ্বিভাষী। তারা বঙ্গভাষীদের সাথে বাংলাভাষায় কথা বললেও নিজেদের গোষ্ঠীর সঙ্গে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলে। তাদের মাতৃভাষা মৈথিলী ভাষার অপভ্রংশ। তবে দীর্ঘদিন বঙ্গদেশে বাঙালীদের সাথে থাকার সুবাদে মৈথিলী ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার মিশ্রণ হওয়া স্বাভাবিক ও যুক্তিগ্রাহ্য। ফলে চাঁই সম্প্রদায়ের বর্তমান ভাষা মৈথিলী ভাষার অপ্রভ্রংশও আর বলা যাবে না; বরং বলা যেতে পারে বাংলা ও মৈথিলী অপভ্রংশ মিলিত একটি মিশ্র ভাষা বা নামকরণ দেওয়া যেতে পারে ‘চাঁইভাষা’। এই ভাষার কোন সাহিত্যিক বা লিখিত রূপ নেই, আছে শুধু তাদের কথ্যরূপ। আমার গবেষণাকর্মের নিবন্ধে মুর্শিদাবাদ জেলায় চাঁইসমাজের মাতৃভাষার পর্যালোচনা করার প্রয়াস থাকবে। সঙ্গে চাঁইভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, শব্দভাণ্ডার, নমুনা ও চাঁই ভাষার ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তার একটা রূপরেখা টানার প্রয়াস করা হবে উক্ত গবেষণাধর্মী নিবন্ধে।

Paper ID : tirj/January22/article-1

Page No : 1 - 10

Published In : Volume – 2, Issue – 01, January 2022

DOI (Digital Object Identifier) : http://doi.one/10.1750/TIRJ.29931 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License