Published Paper Details:

PAGLAMIR KARUSILPE AVINABA UTTARAN-SANDHANI EK ANNYA ABANINDRANATH

SOMA DAS(CHOWDHURY)      

শিল্পীসত্তা, আত্ম আবিষ্কার, খামখেয়ালি, গল্প আঁকা, ভারাক্রান্ত হৃদয়, কুটুম কাটাম, যাত্রাপালা

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামোল্লেখের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সামনে যে পরিচয়ে নিয়ে তিনি উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন তা অবশ্যই-  শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি যে একজন মহৎ চিত্রশিল্পী তা বলাই বাহুল্য। তবে এর বাইরেও তাঁর এক অন্যতর পরিচয় তিনি গল্পকার ও পালাকার। এক সময় তাঁর এই পরিচিত রূপকে অতিক্রম করে নিজেকে ভিন্নতর রূপে প্রকাশের যাত্রা শুরু করেছিলেন, খানিকটা অসচেতন খামখেয়ালির ধারায়। হয়তো আত্মপ্রকাশ ও আত্ম-আবিষ্কারের এক অনিশ্চিত আকুতিই ছিল এর নেপথ্যে। সেই সঙ্গে সমসাময়িক বাস্তবতাকে স্বীকার করে মানব চেতনার এক নিরন্তর প্রবহমানতার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার প্রয়াসও ছিল প্রচ্ছন্নভাবে। তথাকথিত শিল্পীসত্তা থেকে চেতনার ও দৃষ্টির এক অভিনব প্রসারণের চূড়ান্ত উদ্ঘাটন ঘটেছিল অবন ঠাকুরের শেষ পর্বের রচনা ‘খুদ্দুর যাত্রা’-এ। কলের কাজে নিয়ম প্রকরণ ও কঠোরতা থাকে, বিপরীতে মানুষের আর্টে থাকে অনিয়ন্ত্রিত আনন্দ ও মুক্তির স্বাদ। এই মুক্তির স্বাদের অনুসন্ধানই কি তাঁকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল? তাই কখনও শিল্পে কখনও সাহিত্যে কখনও বা চূড়ান্ত অনুসন্ধানের তাগিদে শিল্প-সাহিত্য-বাস্তবের মিশেলে তোলপাড় করেছেন নিজের সত্তাকে। তাঁর সত্তার পরতে পরতে এই আনন্দ পিপাসা ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ছিল বলেই হয়তো তিনি কোথাও থিতু হতে পারেন নি। তাঁর রঙ-তুলি ও কালি-কলম চলেছে একই সাথে। ছবির জগতেও অনবরত স্তর পরিবর্তন করেছেন। ছোটদের গল্প লিখতে লিখতে মনে পড়ে গেছে নিজের ছোটবেলা, যা প্রকাশ করছেন ‘ঘরোয়া’, ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’, ‘আপন কথা’-এ স্মৃতিচারণার মধ্যস্থতায়।

      একটা নেশা ছিল তাঁর, হীরে খোঁজা। বিভিন্ন পাথর সংগ্রহ করে প্রয়োজনে তাকে ভেঙে দেখতেন হীরা আছে কিনা। সেই থেকে শুরু ঠুকঠাক্‌। শিল্পী-চোখ সাধারণের মধ্যে রূপের অনুসন্ধান করতে থাকে। হঠাৎ একদিন দেখলেন বাড়ির ছেলেরা নাটক করার চেষ্টা চালাচ্ছে, অনেক আগে লেখা তাঁরই একটা নাটক ‘এসপার ওসপার’। ভীষণ উৎসাহে ঢেলে সাজালেন ‘নাটুকে ভাব’ বাদ দিয়ে করলেন যাত্রা। ঠাকুরবাড়িতে এক অভিনব যাত্রাপালা অভিনীত হল। দারুণ উৎসাহে শুরু হল যাত্রা লেখার পালা। এবার বিষয় নির্বাচন করলেন- ‘রামায়ণ’। কিন্তু কৃত্তিবাসী রামায়ণ থেকে সরাসরি পালা করায় সমস্যা হল ‘পয়ারে’। লিখলেন পুঁথি। এবার সেই পুঁথিকে সামনে রেখেই রামায়ণের গল্প নিয়ে লিখলেন ‘খুদ্দুর যাত্রা’। এ যাত্রা অভিনব যাত্রা পালা। এখনে পাতায় পাতায় লেখার সঙ্গে সেঁটে দিলেন বিজ্ঞাপন, বিভিন্ন ছবি, সিগারেটের প্যাকেট, দেশলায়ের বাক্স, কাপড়ের টুকরো, চকলেটের মোড়ক আরো কত কি। এর আগে বহু পালা তিনি ‘রামায়ণ’ কাহিনি অবলম্বনে লিখেছিলেন, কিন্তু এক্ষেত্রে এমনভাবে উপস্থাপিত করলেন কেন? তিনি কি নতুন কিছুর সন্ধানে ছিলেন?

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/April/22/article-1

Page No : 1 - 9

Published In :Volume 2, Issue 2, April 2022

DOI (Digital Object Identifier) : http://doi.one/10.1750/TIRJ.29958

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License