Published Paper Details:

ANNADA MANGALER SHIV: AK BIBARTITA CHARITRA.

NAZNIN PERVIN    

শিব, মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল, কালিকামঙ্গল, উমার দাম্পত্য, দুর্ভিক্ষ

বাংলা তথা ভারতীয় সাহিত্যে শিব একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। বৈদিক যুগের সকল সাহিত্যে আমরা শিবকে রুদ্ররূপে লক্ষ্য করি। বেদ পরবর্তী পৌরাণিক যুগে শিবের চরিত্রে আমরা খানিকটা পরিবর্তন দেখেছি। এখানে শিব চরিত্রে রুদ্ররূপ ও যোগীরূপের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়েছে। আর প্রাগাধুনিক বাংলা সাহিত্যে বিশেষ করে মঙ্গলকাব্যে রুদ্র, যোগীরূপের আবরণ খুলে শিব চরিত্রের মানবায়ন ঘটেছে। ‘মনসামঙ্গল’, ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যের দেবখন্ডে ঘর-গৃহস্থালী বর্ণনা পাওয়া যায়, এই গার্হস্থ্য জীবনে রয়েছে হাসি কান্না। ‘শিবায়ন’ কাব্যে আমরা শিবকে কৃষক হিসেবে দেখি। সবথেকে করুণ পরিণতি ঘটেছে অষ্টাদশ শতকে ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে। কাব্যের মধ্যে শিব-সতীর পৌরাণিক কাহিনির পাশাপাশি শিব-গৌরীর সংসারযাত্রার লৌকিক কাহিনি গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত করেছেন। যুগের চাহিদাকে মাথায় রেখে শিবকে কবি কৈলাস পর্বত থেকে নামিয়ে এনেছেন ধূলিধূসরিত পরিবেশে। কুলীন বৃদ্ধ ব্রাহ্মণকে ভিক্ষার পাত্র নিয়ে বেরোতে হয়েছে অন্নের আশায়। ভারতচন্দ্র অষ্টাদশ শতাব্দীর দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে যেমন শিবকে উপস্থাপিত করেছেন অন্যদিকে অঙ্কন করেছেন সেই যুগের যৌনাকাঙ্ক্ষায় মশগুল লাম্পট্য চরিত্রের এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত রূপে। দেবী অন্নদা বা অন্নপূর্ণার মাহাত্ম্যমূলক কাব্য হলেও এটি আসলে অন্নদাতার মাহাত্ম্যমূলক কাব্য, যাতে সারাজীবন অন্নভাব না ঘটে। তার জন্য অন্নদাতা দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’। পরিবর্তনশীল যুগের সঙ্গে দেবতাদেরও পরিবর্তন ঘটে। তাই সৃষ্টিকর্তা শিব পরিবর্তিত হয়েছেন ভিখারি শিবে। তাই আমরা বলতে পারি ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের শিব পৌরাণিক চরিত্রের এক বিবর্তিত রূপ।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/April/22/article-10

Page No : 82 – 90

Published In :Volume 2, Issue 2, April 2022

DOI (Digital Object Identifier) : http://doi.one/10.1750/TIRJ.30400

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License