Published Paper Details:

KUMBHAKAR JIBONKENDRIK NALINI BERAR UPANNYASHE NIMNYA BARGIYA SAMAJ BHABNA O UTTARANER PRACHESTA.

PRIYANKA MONDAL

নিম্নবর্গ, তৃতীয় লিঙ্গ, জীবনযাত্রা, আধুনিকতাবোধ, উত্তরণ, সংস্কৃতি, নারী, স্বাতন্ত্র্যতাবোধ

বাংলা কথাসাহিত্যের অঙ্গনে নলিনী বেরা আপন সাহিত্য কৃতিত্বে উজ্জ্বল। ১৯৫২ সালে পশ্চিমবঙ্গ- ওড়িশা- ঝাড়খণ্ড সীমান্তেরকাছাকাছি সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী বাছুরখোঁয়াড় গ্রামে নলিনী বেরা জন্মগ্রহণ করেন। সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী বাছুড়খোঁয়াড় গ্রাম সাঁওতাল- লোধা- ভুঁইয়া-ভূমিজ অধ্যুষিত। স্বাভাবিক ভাবেই লেখকের লেখায় সেখানকার সমাজের চিত্র প্রতিফলিত হবে। সাহিত্যের কারবার সমাজ নিয়ে, সেখানে লেখকের মানসলোকের কল্পনার সমাবেশে সাহিত্যের জগৎ বর্ণময় হয়ে ওঠে। সমাজের জীবনযাত্রা, জীবিকা প্রতিটি বিষয়ের প্রতিফলন ঘটে সাহিত্যে। এখানে মূলত দুটি কুম্ভকার জীবনকেন্দ্রিক উপন্যাস নিয়ে আলোচনা করা হবে। একটা উপন্যাস ‘অপৌরুষেয়’, ‘মাটির মৃদঙ্গ’। সমাজে যারা শোষিত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, পরিচালিত হয় তারাই নিম্নবর্গ। নলিনী বেরার ‘অপৌরুষেয়’ ও ‘মাটির মৃদঙ্গ’ এই দুই উপন্যাসে কুম্ভকার সমাজকেও দেখানো হয়েছে নানাভাবে মহাজনদের দ্বারা শোষিত, বঞ্চিত হতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই কুম্ভকার সমাজ নিম্নবর্গ শ্রেণি। জীবিকার প্রয়োজনে দরকারি সামগ্রী সংগ্রহ কুম্ভকার জীবনে সহজলোভ্য হয় না। সেই সমাজের একজন মানুষ আনন্দী। সে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। সমাজ এদেরকে ভালোভাবে মেনে নেয় না। ভালো চোখে দেখে না। সেদিক থেকে দেখলে উপন্যাসে কুম্ভকার সমাজের সাথে সাথে আনন্দীও সমাজে অস্পৃশ্য, অবজ্ঞায়িত নিম্নবর্গের মানুষের অন্তর্ভুক্ত সে। কুম্ভকার জীবনের মূল পেশা মাটি সংগ্রহ করে তা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা। অভাবের মধ্যে সংসার চালানো। আর আছে আনন্দীর মনের আশা, স্বপ্নভঙ্গও। যে স্বপ্ন পূরণের অধিকার সমাজ তাকে কখনো দেয়নি। উপন্যাসের পরতে পরতে জীবনের এই কঠিন সত্য স্পষ্টরুপে প্রতিফলিত হবে। পুরুষ- নারীর জীবন সংগ্রামের ভিন্ন ভিন্ন জীবন চিত্র যেমন দেখানো হয়েছে তেমনি নিজস্ব রীতি নীতি স্পষ্টরুপে দেখানো হয়েছে। অপরদিকে ‘মাটির মৃদঙ্গ’ কুম্ভকার সমাজকেন্দ্রিক এক আধুনিকতার ভাববাহক উপন্যাস। ব্যতিক্রমী ছকভাঙ্গা ধর্মী এক উপন্যাস ‘মাটির মৃদঙ্গ’। কুম্ভকার জীবনের কষ্টকর জীবনের কথা যেমন আছে তেমনি সমাজের বাঁকে বাঁকে আধুনিকতার ছোঁয়া আছে। দুটি উপন্যাসে কুম্ভকার জীবনের দুর্দশাপূর্ণ জীবন-জীবিকা, সমাজের নিজস্ব সংস্কৃতি, নারী, সামাজিক পরিসর থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টা নিম্নে বিস্তৃত ভাবে আলোচনা করা হবে। কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে সংসার চালাতে হয় সেটাও আমরা লক্ষ্য করতে পারব। নারীরাও পুরুষদের কাজে সমানভাবে অংশীদার হচ্ছে। নিম্নবর্গীয় জীবন বাস্তবতার দিক থেকে দুটি উপন্যাসে যেমন মিল আছে তেমনি বৈপরীত্যও আছে। ‘অপৌরুষেয়তে’ সমগ্র উপন্যাস জুড়ে কুম্ভকার জীবনের সংগ্রামের কথা ও তার সাথে শুধুমাত্র আনন্দী চরিত্রের মধ্যে অভিনবত্বের ভাবধারা আছে। ‘মাটির মৃদঙ্গে’ যতটা না জীবন সংগ্রাম দেখানো হয়েছে ততটাই চরিত্রগুলির অভিনবত্বও দেখানো হয়েছে। সেই ব্যাপারটা উপন্যাস আলোচনার সময় স্পষ্টরুপে ধরা পড়বে।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/July/22/article-23

Page No : 210 -215

Published In :Volume 2, Issue 3,  July 2022

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License