Published Paper Details:
BANI BASUR AKKHYAN BISWA MAHABHARAT : NARIR ATMYA BHASYA O BIBIDHA.
DR. DIPAK CH. BARMAN, MADHAB MANDAL
বাণী বসু, মহাভারত, পুরাণ-ইতিহাসরস, উত্তরকাল, নারীর আত্মস্বর
পুরাণ-ইতিহাস-আলোকিত অভিজ্ঞতায় অর্জিত জ্ঞানের অভিব্যক্তি সাহিত্যে যে পুরাণ-ইতিহাস রসের আস্বাদ দেয় তা চিরকালের পাঠকের কাছে আস্বাদ্য। এ জাতীয় কথন পদ্ধতিতে উত্তরকালের সৃজনকর্মীরা যে অব্যক্ত ও প্রচ্ছন্ন থেকে যাওয়া অনালোকিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও তত্ত্বের পুনরুজ্জীবন ঘটাবেন তা প্রত্যাশিত। এই পরম্পরানুগ পথ পরিক্রমায় উপন্যাসের নান্দনিক আখ্যান পরিসর নির্মাণের ক্ষেত্রসন্ধানী লেখিকা হিসেবে বাণী বসু অবশ্যই ব্যতিক্রম। তিনি তাঁর সাহিত্যকৃতির বৃহৎ পরিসরে পুরাণের বিনির্মাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আখ্যান নির্মাণের ক্ষেত্রে তিনি মহাভারতের আদি পর্বের শান্তনুর জীবনকথা থেকে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধপর্বের প্রাসঙ্গিকতা এই প্রব্যাপ্ত প্রেক্ষাপটকে সমকালীন আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিগত তত্ত্ববীক্ষায় অনায়াসে গ্রহণ করেছেন। তাঁর ‘কালিন্দী’, ‘ক্ষত্রবধূ’, ‘ক্ষত্তা’, ‘কৃষ্ণ’, ‘সুযোধন-দুর্যোধন’, ‘পাঞ্চাল কন্যা কৃষ্ণা’ প্রভৃতি আখ্যান মহাভারতের এমন সব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বিশেষত সমকালীন নারীর স্বর চিহ্নায়ক হিসেবে উল্লেখযোগ্য। সমাজের প্রচলিত, পরম্পরাগত ধারণা অনুযায়ী নারী এখনও ‘অপরসত্তা’ হিসেবে চিহ্নিত এবং সেইসঙ্গে উপেক্ষিত। এই ধারণার প্রতিপাঠ হিসেবে বাণী বসুর নির্বাচিত পুরাণ নির্ভর আখ্যানে নারীর ‘আত্মস্বর’কে মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বর্তমান প্রবন্ধ পরিকল্পনা।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/July/22/article-27
Page No : 241 – 253
Published In :Volume 2, Issue 3, July 2022
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848