Published Paper Details:
SANMATRANANDER ‘DHULIMATIR BAUL’ GRANTHE PRAKRITI PRASNGA.
DEBASREE PAUL
সন্মাত্রানন্দ, ধুলামাটির বাউল, সন্মাত্রানন্দ ও প্রকৃতি, বাউল, মনুনদী, মনু বাউলানি, ধুলামাটির পথ, সাহিত্যে প্রকৃতি
সৃষ্টির ঊষালগ্ন থেকে প্রকৃতি আজও নানা বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে নিজের পথ নিরন্তর অতিক্রম করে চলেছে। ঠিক যেভাবে মানবাত্মা জন্ম-জরা-ব্যাধি-মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে অবিরাম দেহ পরিবর্তন করে চলেছে। আসলে কেউই থেমে নেই সে প্রকৃতিই হোক বা মানুষ, কারণ সকলের অন্তরে ‘বাউলসত্তা’ বিরাজমান। প্রকৃতির বর্ণনা করতে গিয়ে আমরা যেমন নারীকে উপমা রূপে ব্যবহার করি, সেভাবেই প্রকৃতির এই বাউলসত্তাকে তুলে ধরার জন্য তার গভীরে লুকিয়ে তিন উপাদানের প্রসঙ্গ গদ্যকার এখানে নিয়ে এসেছেন। অতএব মনুনদী-মনু বাউলানি-ধুলামাটির পথ লেখককে ঘর থেকে পথে নামিয়েছেন কীভাবে, সেই আলোচনাই স্থান পেয়েছে আলোচ্য প্রবন্ধের প্রথম অংশে।
মানুষের মধ্যে চির লুকায়িত এই বাউলসত্তা যখন সুপ্ত থেকে জাগ্রত অবস্থায় আসে তখন তাঁর মধ্যে আত্মানুসন্ধানের প্রবণতা দেখা যায়। আত্মানুসন্ধানের এই খোঁজ তাকে ‘একা’ করে দেয়, আর সান্নিধ্যে নিয়ে আসে প্রকৃতিকে। তখন প্রকৃতিই হয়ে ওঠে তাঁর একমাত্র সঙ্গিনী। প্রকৃতির মধ্যে থেকে প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়ে আত্মানুসন্ধানের করতে গিয়ে লেখকের অনুভবে ধরা পড়ে প্রকৃতির বৈচিত্র্যময়তা। এই অনুভূতির স্পর্শে তিনি পরমহংস শ্রীরামকৃষ্ণের সাধকসত্তার আড়ালে থাকা শিল্পসত্তাকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তাই এই শিল্পী রামকৃষ্ণ কীভাবে সাধক হয়ে উঠেছেন তা অবশ্যই জানার অপেক্ষা রাখে। আবার যে মানুষটি মুখ ও মুখোশের ভেদাভেদ করতে পেরেছিল বলে তাঁকে প্রভু যীশুর প্রেম প্রচারের পথে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সেই বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে কীভাবে সেন্ট ফ্রান্সিস মুক্ত প্রেম প্রচার করেছিলেন, সে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে প্রবন্ধটিতে। যতন মন্ডলের জীবনে কিসের জন্য ‘Being’ এর থেকে ‘Becoming’ গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে, সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক নিজেই যেন অনুপ্রাণিত হয়ে পড়েছিলেন। এছাড়াও অচিনপুরের মানুষ অবোধ মাঝির জীবন দর্শন, মাটির রঙের তাৎপর্য, মধুবাবু’র মধু ও মৌমাছিদের প্রতি গভীর ভালোবাসা দেখে তাকে প্রকৃতি প্রেমিক মনে হয়, অথচ এই মানুষটিকে আবার সকলের কাছে প্রত্যাখাত হতে দেখি, এই বৈপরীত্যের কারণ খোঁজারও চেষ্টা রয়েছে আমাদের আলোচনায়। অতএব সমগ্র আলোচনা জুড়ে প্রকৃতি রূপের সৌন্দর্য বর্ণনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়,বরং সেই প্রকৃতিকে অনুভূতি সহকারে, তার গভীরে প্রবেশ করে তার মনন সমৃদ্ধ, প্রজ্ঞাশীল রচনাকে নিজেদের মত করে আহোরণ করাই আমাদের আলোচ্য বিষয়টির মূল লক্ষ্য বলা যেতে পারে।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/July/22/article-29
Page No : 264 – 271
Published In :Volume 2, Issue 3, July 2022
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848