Published Paper Details:
BYADH KHANDA : EKTI BISRITA PRAY JATIR ITIHASH FIRE PAOYAR AKKHYAN.
TAMAL MUKHOPADHYAY
কবিকঙ্কন, ব্যাধখণ্ড, জাতি, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, সমাজজীবন, সমাজবিন্যাস, খাদ্যাভ্যাস, লোকসংস্কার, লোকাচার, বিশ্বাস, প্রথা, ট্যাবু
একদা আর্যায়নের সময়কার প্রাচীন ভারতের সেই প্রবল পালাবদলের দিনগুলোতেও যে জাতি আপন স্বাতন্ত্র্য নিয়ে নিজের স্থান ধরে রেখেছিল সেই শবরেরা উৎপীড়িত, উৎখাত, অবদমিত, উপেক্ষিত হতে হতে ক্রমশ বিস্মৃতির অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। ইতিহাসের মূলস্রোতে ফিরিয়ে দিয়ে, তাদের বিস্মৃতপ্রায় ইতিহাসকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে ‘ব্যাধখণ্ড’ (প্রথম প্রকাশ জানুয়ারি ১৯৯৪, কলিকাতা পুস্তক মেলা) উপন্যাসটি মহাশ্বেতা দেবীর হাতে অন্যতম আয়ুধ। শবর জীবন ও তাদের সংস্কৃতি, আচার, বিচার, প্রথা, সংস্কার, সামাজিক বিন্যাসের সাথে সাথে ঐ আরণ্যক মানুষগুলোর মনস্তত্ত্বকেও তিনি যেভাবে অনুপুঙ্খতার সাথে তুলে ধরেন তাতে তাঁর অনুসন্ধানের ব্যাপ্তি যেমন বোঝা যায় তেমনি অনুভব করা যায় কত গভীর ভাবে তাদের অন্তরাত্মাকে তিনি স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কবিকঙ্কন মুকুন্দরামের ‘অভয়ামঙ্গল’ এক আখেটিয়া ব্যাধকে নায়ক হিসেবে পেয়েছিল ঠিকই কিন্তু সে ছিল বুনো দুর্ধর্ষ, আর্যদের গন্ধমাখা অরণ্যজীবি, পরিপূর্ণ শবর সন্তান সে নয় কারণ তাঁর স্রষ্টা সে জীবন থেকে বহুদূরে। অন্যদিকে মহাশ্বেতা দেবীর একটা বড় পরিচয় তিনি ‘শবর মাতা’। যদিও শবর জীবন ও ইতিহাস তাঁর অনুসন্ধেয়, তবুও ঔপন্যাসিক সুলভ তদ্গত দৃষ্টিকেও ভোলেন না; তাই রচনাটি শিল্পসৃষ্টি হিসেবেও সার্থক হয়েছে। ‘ব্যাধখণ্ড’ দেশ-কাল-জাতির পরিচয়কে ধারণ করেও তার সীমা অতিক্রম করে বাংলা, বাঙালী জীবন, রোজনামচা, মনস্তত্ত্ব, প্রেম, বিরহ, সুখ-দুঃখের আলো ছায়াপাত সমেত কালোত্তীর্ণ এক নির্মাণ। দুটো ভিন্ন সংস্কৃতি, তাদের সংঘর্ষ, প্রবল সংস্কৃতির আগ্রাসনের হাতে পুনরায় পর্যদুস্ত শবরদের ছিন্নমূল হয়ে যাওয়া, নিয়তি তাড়িত শবরদের কুমারী অরণ্যের উদ্দেশ্যে প্রস্থান নিয়ে এই নির্মাণ আসলে একাধারে ইতিহাস, গবেষণা, উপন্যাস ও ট্র্যাজেডি। আবার এই মত ব্যতিক্রমী সৃষ্টির হাত দিয়েই কথাকার সমকালের গড্ডালিকা প্রবাহের স্বাচ্ছন্দ্য ও জনপ্রিয়তাকে উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ব্যতিক্রমী কথাসাহিত্যিক হিসেবে মহাকালের বুকে অমরত্ব পান।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID :
Page No : 18 – 27
Published In :Volume 2, Issue 3, July 2022
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848