Published Paper Details:
SUNIL GANGOPADHYAYER ‘SEI SAMAY’ UPANNYASHE NARI : SAMAYER DARPAN.
SUKANYA BERA
নারী, সমাজের প্রতিচ্ছবি, কুসংস্কার, সময়ের প্রতিবিম্ব, অকাল বৈধব্য, বিধবা বিবাহ, পতিতা, বাবুসম্প্রদায়
পুরুষ ও নারী সমাজের দু্টি মিলিত স্তম্ভ। এই দুই স্তম্ভের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে আমাদের সমাজ। কিন্তু যুগ যুগ ধরে পুরুষশাষিত সমাজ তাদের অপরস্তম্ভকে সমাজের অর্ধেকাংশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়ে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে এবং অনিবার্য নিয়মে তলিয়ে গেছে অন্ধকারে। এই নারী যেমন সংসারের প্রতীক, তেমনি নারী চরিত্রের বিশ্লেষণ না করে আমরা কোন সময়ের সমাজের পূর্ণ ছবি পেতে পারি না। ‘সেই সময়’ উপন্যাসের নারী চরিত্রগুলি বিশ্লেষণের মাধ্যমে তৎকালীন সময় তথা সমাজের চিত্রটি খুঁজে নেব।
বিম্ববতী : ধনী বাড়ির গৃহবধূ, স্বামীর এক এবং অদ্বিতীয় স্ত্রী– যা তৎকালীন সময়ের সাপেক্ষে সত্যিই সুভাগ্যের পরিচায়ক, পুত্রবতী। বাইরে আপাত সুখী বিম্ববতী বাস্তবে যৌবনে স্বামীসঙ্গ বঞ্চিতা একাকী সুন্দরীর গৃহবধূ ও পৌঢ়ত্বে বিকৃতকাম এক বৃদ্ধের লালসার হাত থেকে রক্ষা পেতে সংসারত্যাগী।
বিন্দুবাসিনী : ধনীগৃহের সন্তান, বাল বিধবা। পুরুষের তার প্রতি আকর্ষণের দোষ স্বরূপ সংসার বহিষ্কৃতা। কাশীতে লোকসম্মুখে দস্যু দ্বারা অপহৃতা। সতী নারীর আজন্ম লালিত সংস্কারগুলি টুকরো টুকরো করে হত্যা করে এক জড়বস্তুতে পরিণত করে। সংসার, পরিজনহীন সেই নারী গঙ্গাবক্ষে খুঁজে নেয় শেষ আশ্রয়।
কুসুমকুমারী : বিধবানারী, কিন্তু বৈধব্যের অন্ধকারে হারিয়ে না গিয়ে খুঁজে পায় সংসার, ভালোবাসা।
সুবালা : বৈধব্য এবং পুনরায় বিবাহের সুত্রে দেখতে পাই কীভাবে তার জীবন চিরতরে অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
থেকোমনি : গ্রাম্যগৃহ বধূ স্বামী, সন্তান হারিয়ে একান্ত অসহায় ভাবে আশ্রয় নেয় জমিদার বাড়ির দাসীমহলে। ক্রমে বেঁচে থাকার তাগিদে ও সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে এক এক করে বিসর্জন দেয় নিজের জন্মগত সংস্কার। ভেসে যায় অন্ধকারের মধ্যে।
সোহাগবালা : প্রবল প্রতাপশালী দাসীমহলের প্রধানা। সন্তানহীন সতীনারী স্বামী সুখের জন্য নিত্য নতুন শয্যাসঙ্গীকে পাঠিয়েছে স্বামীর বিছানায়। বাহ্যিক ক্ষমতার সাথে আন্তরিক শূন্যতার এক বিপ্রতীপ সহাবস্থান সোহাগবালা।
হীরেমনি : রক্ষিতা নারী। সন্তানকে এক সুস্থ জীবন দেওয়ার আশায় বুক বাঁধে সে। কিন্তু সমাজের আঘাতে সন্তানকে হারিয়ে এই পঙ্কিলজীবন চিরতরে ত্যাগ করে ভগবানের চরণে নিজেকে অর্পণ করতে চায়। হয়ত ভাগবানও গ্রহন করেন না তার আর্তধ্বনি, পথে দস্যুদের দ্বারা ধর্ষিত হয়ে উন্মাদপ্রায় অবস্থায় মৃত্যু হয় অসীম প্রভাবময়ী এই নারীর।
দূর্গামনি- উপন্যাসে অন্যতম বিদ্রোহিণী তথা আধুনিক এক নারী। সে যুগের হাজারো স্বামী ভালবাসাহীন রমনীর মত নিজের জীবন কাটিয়ে দিতে চায়নি সে, বারে বারে প্রশ্ন তুলেছে। মাতাল, লম্পট স্বামীর গলায় ছুরি বসিয়ে জীবনে মুক্তির পথ খুঁজে নিয়েছে সে।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/July/22/article-30
Page No : 272 – 280
Published In :Volume 2, Issue 3, July 2022
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848