Published Paper Details:

BANGLAR DHARMIYA SANSKRITITE KAYEKTI BOISHNAB AKHRA.

ASHIM BISWAS

আখড়া, শ্রীপাট, গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম, তীর্থকেন্দ্র, বৈষ্ণবসমাজ, খড়দহ, শ্রীখন্ড, চাকুন্দি, কুলিনগ্রাম, সমাজবাড়ি

বাংলার ধর্মীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের উত্থান একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বাংলা তথা ভারতবর্ষের সংস্কৃতি এমনকি বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতিতে বৈষ্ণব ধর্মের অবদান অনস্বীকার্য। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বৈষ্ণব ধর্ম আজ বিশ্ব মানবতার ধর্মে পরিণত হয়েছে যার সৌজন্যে তিনি হলেন নদিয়ার-চাঁদ নিমাই; মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব। তাঁর হাত ধরে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম বাংলার গণ্ডি অতিক্রম করে বাংলার বাইরে অপরাপর ভারতীয় ভূখণ্ডে এবং বিদেশে এই ধর্মের প্রসার ঘটেছে। শ্রীচৈতন্যের অপ্রকটের পরবর্তীকালে তাঁর অনুচর-পরিকর-সহচর-শিষ্য-প্রশিষ্যদের সহযোগিতায় ‘গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম' তথা ‘ভারতীয় বৈষ্ণবধর্ম' নতুনরূপে নবযুগে উত্তীর্ণ হয়েছে। আর তাই, এক্ষেত্রে দেখা যায় শ্রীচৈতন্যের সমকালীন সময়ে এবং পরবর্তীকালে বাংলা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় নেতাকে কেন্দ্র করে বা কোনো বিশেষ স্থানকে কেন্দ্র করে বৈষ্ণবীয় আখড়া গড়ে উঠেছিল সারা ভারতবর্ষব্যাপী। এই আখড়াগুলিকে কেন্দ্র করেই বৈষ্ণবধর্ম প্রচারিত ও প্রসারিত হয়েছিল বিভিন্ন প্রান্তে। বাংলার ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতিতে এটি ছিল একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকের শুরু থেকে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকে। আজও এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে প্রধারণত ষোড়শ শতক এবং সপ্তদশ শতকেই বৈষ্ণবীয় আখড়ার উত্থান, বিস্তার ও ধ্বংসের সুবর্ণযুগ ছিল বলে মনে হয়। শ্রীচৈতন্যদেব জীবিত থাকাকালীন সময়েই গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের মধ্যে বিভেদ লক্ষ্য করা যায়। তাঁর মৃত্যুর পর এই বিভেদ আরও চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। তৎকালীন সময়ে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের অভ্যন্তরেই নেতৃত্বের অনৈক্যের ফলে গড়ে উঠতে থাকে বিভিন্ন দল-উপদল, শাখা-উপশাখা সম্প্রদায় ও গোষ্ঠী। আর সেজন্যই বিভিন্ন ধর্মীয়নেতা ভিন্ন ভিন্ন তীর্থকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন তীর্থকেন্দ্র বা শ্রীপাট বা আখড়া গড়ে তুলতে থাকেন। আবার এই আখড়াগুলিকে কেন্দ্র করেই গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের সমান্তরালে বিভিন্ন অনুসারী ধর্মীয় গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। যারা পরবর্তী শতকগুলিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। আমি, আমার এই গবেষণা নিবন্ধে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে ওঠা কয়েকটি বৈষ্ণব আখড়া বা শ্রীপাট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি বিবরণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/July/22/article-4

Page No : 28 – 40

Published In :Volume 2, Issue 3,  July 2022

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License