Published Paper Details:
BIJON BHATTACHARYA ER ‘NABANNYA’ NATAKE – MAMMANTAR O NABA JIBANER UTTARAN.
PRIYANKA ROY
নবান্ন, মন্বন্তর, মহামারী, মহাযুদ্ধ, গণনাট্য, দোসর, ফ্যাসীবাদ, দুর্ভিক্ষ, আন্দোলন, উত্তরণ
বাংলার গণনাট্য আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত গণনাট্যের অন্যতম পথিকৃৎ বিজন ভট্টাচার্য্যের ‘নবান্ন’ নাটকটি বাংলা গণনাট্য আন্দোলনকে বিশেষভাবে ত্বরান্বিত করে তুলেছিল। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলাকালীন ১৩৫০ এর মন্বন্তর বাঙালীর জীবনের একটি কালো অভিশাপের মতোই নেমে এসেছিল। মন্বন্তরের দোসর অবশ্যম্ভাবীরুপে দেখা দেয় মহামারী। মানুষের মন বিষিয়ে ওঠে। এই মন্বন্তরের পরিবেশে বিজন ভট্টাচার্য্য রচনা করেন ‘নবান্ন’, ‘আগুন’, ‘জবানবন্দি’ প্রভৃতি পূর্ণাঙ্গ ও একাঙ্ক নাটক। আমার আলোচ্য প্রবন্ধটি হল– “নবান্ন নাটকে মন্বন্তর ও নবজীবনে উত্তরণ”। ফ্যাসীবিরোধী লেখক ও শিল্পিসংঘের একটি অন্যতম সাংস্কৃতিক নাট্যবিভাগ হল ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি ছিল এই গণনাট্য সঙ্ঘের পথপ্রদর্শক। এই সঙ্ঘের উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রগতিমূলক নাট্যসংস্থাগুলিকে একটি সাধারন কর্মপন্থার মধ্যে একত্রিত করা এবং স্তিমিত প্রায় সংস্কৃতিকে জাগিয়ে তুলে তাকে প্রানবন্ত করে তোলা জনগণের মধ্যে। এই ভারতীয় গণনাট্যের প্রযোজনায় ১৯৪৪ খ্রীষ্টাব্দের ২৪শে অক্টোবর ‘শ্রীরঙ্গম’ রঙ্গমঞ্চে ‘নবান্ন’ নাটকটি অভিনীত হয়। পরিচালনা করেন শম্ভুমিত্র এবং বিজন ভট্টাচার্য্য। ১৯৪৩ সালের মন্বন্তরের বিভীষিকা বাংলাদেশকে গ্রাস করেছিল এবং তাঁর এক বৎসর আগে হয়েছিল ১৯৪২ এর আগষ্ট আন্দোলন। এই আন্দোলনে ব্রিটিশ মিলিটারির নির্মম অত্যাচার দেশবাসীর ওপর নেমে এসছিল। এছাড়া ভয়ঙ্কর সাইক্লোন এবং বন্যা গ্রাম বাংলার উপান্ত অঞ্চলকে বিপর্যস্ত করেছিল ।ব্রিটিশের তৈরি ‘পোড়ামাটি’ নীতির ফলে প্রচুর খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ও উপরিউক্ত বিভিন্ন কারণে গ্রাম বাংলার কৃষকশ্রেনী দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে বাধ্য হয়। এই দুর্ভিক্ষ ও মন্বন্তরের নামান্তর হিসেবেই বিজন ভট্টাচার্য্য রচনা করেণ “নবান্ন” নাটকটি। মোট চারটি অঙ্ক ও পনেরোটি দৃশ্যে বিভক্ত এই নাটকটি। গ্রাম বাংলার উদাহরণ স্বরুপ রয়েছে আমিনপুর গ্রাম। নাটকের প্রথম তিনটি অঙ্কে ও বারোটি দৃশ্যে রয়েছে গ্রাম ও শহরের মর্মান্তিক রূপ। গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে দয়াল, প্রধান সমাদ্দার ও তার পরিবারের ভিটেমাটি ছাড়ার দৃশ্য এবং পরে নিরঞ্জনের প্রতিবাদী সত্ত্বা। চতুর্থ অঙ্কের তিনটি দৃশ্যে রয়েছে সঙ্ঘবদ্ধ কৃষকের নতুন ভাবে বেঁচে ওঠার কাহিনি এবং তাদের নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠা। এই হিসেবে ‘নবান্ন’ নামকরণ অবশ্যই সার্থক। এই আলোচ্য প্রবন্ধে আমি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ‘নবান্ন’ নাটকের মাধ্যমে মন্বন্তরের বিভীষিকাময়রুপ এবং প্রতিবাদ ও প্রতিশোধের মধ্য দিয়ে প্রতিটি মানুষের কীভাবে নবজীবনে উত্তরণ ঘটেছে।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/July/22/article-52
Page No : 471 -477
Published In :Volume 2, Issue 3, July 2022
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848