Published Paper Details:
RABINDRA TATTYA NATAKE BAUL GANER ADHAR.
SALEHA KHATUN
বাউল গান, রবীন্দ্রনাথ, তত্ত্বমূলক গান, লোকসংগীত, সাধুসন্ত, সহজিয়া, বৈষ্ণব, ফকির, দরবেশ
বাউল গান হল একটি তত্ত্বমূলক গান। এই গানের মূল উদ্দেশ্য হল ‘মনের মানুষ’ খোঁজা। বাউল সাধুসন্তরা এই গানের মাধ্যমে তাঁদের অন্তরের আধ্যাত্মিক ভাব প্রকাশ করে থাকেন। বাংলায় যতগুলি লোকসংগীত রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো এই বাউলগান। কিন্তু তৎসত্ত্বেও একসময় শিক্ষিত জনসমাজের কাছে এর কোনো মূল্যই ছিল না। রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই গানের তাৎপর্য উপলব্ধি করেন এবং তিনিই প্রথম শিক্ষিত সমাজের কাছে এই গুরুত্ব সম্পর্কে তুলে ধরেন। তারপর থেকে স্খলিত বাউলগান ধীরে ধীরে তার যথাযত সম্মান ফিরে পেতে থাকে। তবে বাউলগান ও ধর্মের প্রতি রবীন্দ্রনাথের আকর্ষণ যে কবে থেকে জন্মেছিল সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু না বলা গেলেও বাউলগানের প্রতি তাঁর আকর্ষণ যে শিলাইদহে জমিদারী তদারকি করতে গিয়ে প্রবল ভাবে জন্মেছিল সে কথা নিশ্চিত করে বলা যায়। শিলাইদহে এসে তিনি বৃহৎ গ্রামীণ লোকজীবনের সঙ্গে যেমন পরিচিত হয়েছিলেন, তেমনি সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ট বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বাউল সম্প্রদায়ের সঙ্গে। আসলে ভাবের গভীরতায়, ভাষার সরলতায়, সুরের দরদে বাউলগান অনন্য। তাই এই গান পুরানো হয়েও চিরআধুনিক। ‘হারামণি’ গ্রন্থের ভূমিকা থেকে জানা যায় বাউলগানের সুর ও বাণী কবির মনের মধ্যে প্রগাঢ় ভাবে মিশে গিয়েছিল। তিনি জ্ঞাত অজ্ঞাতসারে তাঁর বহু গানে তিনি বাউলসুর বসিয়েছেন। তবে শিলাইদহে বাউলগানের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে পরিচিত হলেও সম্ভবত সেখানে তিনি বাউলগান রচনা করেন নি। শিলাইদহ থেকে ফেরার পর তিনি একের পর এক বাউলাঙ্গ সুরে গান রচনা করেছেন। তাঁর সমস্ত সাহিত্য সম্ভারের মধ্যে এই বাউলগানের প্রয়োগ থাকলেও নাটকে মধ্যে আমরা সর্বাধিক প্রয়োগ লক্ষ্য করি। বিশেষ করে তাঁর তত্ত্বনাটকের গানে বাউলাঙ্গ সুরের প্রভাব সবচেয়ে বেশি প্রত্যক্ষ করা যায়। প্রতিটি বাউলগান যে নাটকের প্রয়োজনেই ব্যবহৃত হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। নাটকের ভাববস্তুর সঙ্গেও গানগুলি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/July/22/article-54
Page No : 485– 494
Published In :Volume 2, Issue 3, July 2022
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848