Published Paper Details:
AK DASHAK ANNYA BALIWOOD : DHARMA O SANTRASER BIPOKKHE.
DR. NABANITA BASUHAK
প্রথম অধ্যায় : ভূমিকা
‘বলিউড’ সিনেমার দুনিয়ায় সকলে আদর করে ডাকে বোম্বে নির্মিত হিন্দি সিনেমার জন্মস্থানকে। বলিউড সিনেমায় ধর্মের সন্ত্রাসের বিপক্ষে, বিশেষজ্ঞর মত সমস্যাগুলো দেখাতে চেষ্টা করছে! দেখাতে চাইছে মানবতার কথা, আর্টিকেল ১৫’র সমতার কথা, সংবিধানের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা। আর হিন্দু-মুসলিম ঘৃণা তৈরির মূল কারণ অনুসন্ধান করে চলেছে! ভারতে দু"দশক জুড়ে সূক্ষ্ম সুপ্ত সাম্প্রদায়িক মনোভাব তৈরি হয়েছে। যা ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম সর্বত্র। এই মনোভাব আমেরিকার একচেটিয়া শাসনের মতোই গোটা বিশ্বে স্থাপন করা হয়েছে। ধর্ম একটা পর্দা। যার মোড়কে রাষ্ট্র মানুষ নয়, নিছক ধর্মীয় মানুষ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে।যখন থেকে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম উদ্ভব হয়েছে, তখন একেশ্বরবাদ থেকে বহুশ্বরবাদ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ক্রুসেড হয়েছে, ইউরোপে বারবার।সারা বিশ্ব এখন আধুনিক সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত। তবু ও বিশ্বের কিছু রাষ্ট্র এবং ভারতও হিন্দু-মুসলমান বিভেদ সৃষ্টিতে তৎপর। রাষ্ট্র সমস্ত সমস্যা থেকে মানুষের চোখকে দূরে সরিয়ে রেখে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর সমস্যাকে সমানে উস্কানি দিয়ে চলেছে। অথচ সৎভাবের জায়গাগুলো যেন মরীচিকার মত সেগুলোকে সামনে আনা হচ্ছে না।
দ্বিতীয় অধ্যায় : মাই নেম ইজ খান
এই সিনেমাতে অ্যাসপারজিয়ার শিকার রিজওয়ান। সন্তান তার মারা যায় স্কুলে বুলি তে। ঘটে যায় নয় এগারোর ঘটনা। সারা বিশ্ব যখন সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করে মুসলমানদের সেইখানে রিজওয়ান ওবামার সঙ্গে দেখা করে জানায়, নট মি। অর্থাৎ মুসলমান মানেই খারাপ লোক নয়। স্ত্রীর প্রতি মুহূর্তে যন্ত্রণা দগ্ধ। একদিকে পুত্র বিয়ের, অন্যদিকে উদ্ভ্রান্ত ভারাক্রান্ত গণহত্যার স্বামী। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওবামার কাছে তাদের দেখা হয়। একটা ইচ্ছে, একটা ভারসাম্য যুক্ত বক্তব্য প্রতিষ্ঠার জোরালো যুক্তিতে।
তৃতীয় অধ্যায় : শাহীদ
খুন হয়ে যাওয়া এক উঠিলেন জীবন নিয়ে গড়ে ওঠার এই সিনেমাটা শাহীদ একদা বিনা অপরাধে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে জেলে যায়। জেল থেকে ফিরে সে আইন নিয়ে পড়ে ও মূল ঘটনার তদন্তে নামে। সে সবকিছু যখন বুঝতে পারে, সমস্যার প্রান্তে এসে উপস্থিত হাজির করার জায়গাতে, তখন একরাতে খুন করা হয় তাকে। যদিও তার কাজের আদর্শ, অন্যায় চক্র ধরার কৌশল কোর্ট কেস, ততদিনে জনসমক্ষে একটা গভীর রেখা টেনেছে। এইখানেই তার জয়, মরে গেলেও।
চতুর্থ অধ্যায় : পিকে
এ এক অদ্ভুত রসায়ন। ভিন্ন গ্রহের মানুষ জাত পাত ধর্ম বর্ণ চিনে। ভদ্র হয়। ক্রমশ সে সমাজের গুরুবাদ, ঈশ্বর, পুজো, মন্দির মসজিদ ইত্যাদি বিষয়ে বুঝতে পারে এবং তার প্রেমিকা যে একদা লন্ডনে থাকত, তাকে গুরুদেব বুঝিয়ে দিয়েছিল যে মুসলিম ছেলেটিকে।
পঞ্চম অধ্যায় : আর্টিকেল ফিফটিন
এই সিনেমাতে একেবারেই ভারতের ভোট কেনার চক্রটি উঠে এসেছে। সৎ পুলিশ অফিসার একা দক্ষ হাতে সবটা সামলাতে থাকে। তারপর দেখে মূল কাঠামোর মধ্যে ভেজাল সহকর্মীদের। যারা নানা ভাবে দুর্নীতি কেনে। তাদের জন্য গুলিয়ে যায় সব। ভন্ড মহন্তজী, যে নাকি ভোট রাজনীতি বোঝে, উন্মোচিত হয়।
ষষ্ঠ অধ্যায় : উপসংহার
বলিউডের পরিচালকের এই চারটে ছবি নির্মাণে ভারতের সন্ত্রাস বাদ, জাত ধর্ম, ভোটারের বিষন্নতা, গুন্ডাবাজির চিত্র তুলে ধরে সঠিক যথাযথ সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছে।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/July/22/article-7
Page No : 76 – 82
Published In :Volume 2, Issue 3, July 2022
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848