Published Paper Details:

RAKHAL DAS BANDHYAPADDHYER OITIHASHIK UPANYAAS : PRASANGA ‘SAMAY’ DHARANA.

SANDIP DAS 

ইতিহাস(history), সময় (time), বাচন (discourse), ক্রম(order), অবলোপন (elipsis), অতীতকথন (analepses),

ভবিষ্যৎ কথন(prolepses), ব্যাপ্তিকাল (duration), বিরতি(pause), সারাংশ(summary), দৃশ্য (scene), পৌনঃপুনিকতা (frequency)

বিশিষ্ট ভাষাবিদ সুকুমার সেন বলেছিলেন, বাংলাসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র, রমেশচন্দ্রের পরেই ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনায় রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রেষ্ঠ। পরবর্তী কালে বিজিত দত্ত তাঁর ‘ঐতিহাসিক উপন্যাস’ গ্রন্থে সুকুমার সেনের সিদ্ধান্তে শিলমোহর প্রদান করেন। কারণ, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাচীন বাংলার কালানুক্রমিক (প্রাচীন হিন্দু-বৌদ্ধ যুগ থেকে মুসলমান বিজয় পর্যন্ত) সময়পর্বকে তাঁর ঐতিহাসিক উপন্যাসে বেশ কৃতকৌশলের দ্বারা উপস্থাপন করেছিলেন। সেক্ষেত্রে সমকালে (বিশ-শতক) তিনি সাহিত্যিক হরিসাধন মুখোপাধ্যায়ের পরেই ঐতিহাসিক উপন্যাস রচয়িতা হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রাখালদাস বাংলার প্রাচীন হিন্দু-বৌদ্ধ যুগ নিয়ে লেখেন, ‘পাষাণের কথা’, ‘হেমকণা’ ও প্রায় ছ-শো বছরের গুপ্ত যুগ নিয়ে লেখেন, ‘শশাঙ্ক’, ‘করুণা’, ‘ধ্রুবা’, উপন্যাস তিনটি, অন্যদিকে পাল যুগের রাজা ধর্মপালকে নিয়ে ‘ধর্মপাল’ উপন্যাস ও মুসলমান বিজয়ের কাহিনি বিধৃত করেছিলেন তাঁর ‘অসীম’, ‘লুৎফ-উল্লার’-র মত উপন্যাসে। উপন্যাস হল কথার শিল্প। কথক তাঁর সৃজিত আখ্যানে কথা দিয়ে বিশেষ একটি কালপর্বের সমাজ ব্যবস্থাকে (রাজনৈতিক-ভৌগলিক-আর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক) তুলে আনেন উপন্যাসের বাচনস্তরে। সেক্ষেত্রে উপন্যাসের বাচনস্তরে কাহিনিকাল নির্মিত হয় ঔপন্যাসিকের ‘ফোকালাইজেশন’ বা নিরীক্ষণের দ্বারা। যেহেতু কথা-আখ্যান মূলত স্থান-কাল-ঘটনা ও চরিত্রের (কনটেন্ট বা এক্সপ্রেশন) অবস্থার মিলিত প্রকাশ। প্রতিটি ‘কনটেন্ট’ কথকের নিরীক্ষণে পুনঃর্বিন্যস্তাকারে পুনঃনির্মিত হয় তাঁর আখ্যানের মাত্রায়ণে। অর্থাৎ, উপন্যাসের ক্ষেত্রে ‘কাল’ বা ‘সময়’ একটি বিশেষ উপদান সে-কথা স্বীকার করে নেওয়া যায়। যে-কোনো উপন্যাসের কাহিনিই এই ‘সময়’ বিন্যাসের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বললেও খুব একটা ভুল বলা হয় না। উপন্যাসের বাচন পরিসরে প্রকাশিত ‘সময়’ বিন্যাসই বলে দেয়, উপন্যাসের কাহিনিকাল। তারই ভিত্তিতে উক্ত প্রবন্ধে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলির বাচন পরিসরে ‘সময়’ বিন্যাসের ধারণা আলোচনা করা হবে। সেক্ষত্রে, সময়ের তিন উপাদন, ১. সময় ক্রম (Order) ২. কালের স্থায়িত্ব বা স্থিতিকতা (Duration) ৩. পৌনঃপুনিকতা (Frequency) -এর নিরিখে তুল্যমূল্যাকারে বিচার ও বিশ্লেষণ করা হবে।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/ October 22/article-19

Page No : 152-166

Published In :Volume 2, Issue 4

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License