Published Paper Details:

MUKUNDARAMER CHANDI MONGAL : NARI MANASTATYA O ADHUNIKATA.

DILRUBA KHATUN

চণ্ডীমঙ্গলে নারীচরিত্র, নারী মনস্তত্ব, আধুনিকতার লক্ষণ, সম্ভাবনা।

কবিকঙ্কণচণ্ডীর অভিনবত্বের কথা বলতে গিয়ে আশুতোষ ভট্টাচার্য তাঁর ‘বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস' গ্রন্থে বলেছেন- মানব চরিত্র সম্পর্কে মুকুন্দরামের যে সুগভীর ও সূক্ষ্ম অভিজ্ঞতার পরিচয় পাওয়া যায় মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে তাহা অভিনব। এই জন্যই তাঁর কাব্যের মধ্যে সুপরিণত চরিত্রসৃষ্টি সার্থক হইয়াছে। সত্যই মুকুন্দ চক্রবর্তীর কাব্যের বাস্তব রস জীবনানুভুতি, চরিত্রচিত্রণ ও সমাজচিত্রণ এত সার্থকতা মণ্ডিত হয়েছে যে এই বৈশিষ্ট্যগুলিই তাঁকে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবির সম্মান দিয়েছেন। নারী চরিত্রের অভিনবত্বের কথা বলতে গিয়ে ড.হংসনারায়ণ ভট্টাচার্য তাঁর 'বাংলা মঙ্গলকাব্যের ধারা' গ্রন্থে বলেছেন- নারী চরিত্রগুলি প্রায় সবই সুঅঙ্কিত হয়েছে ফুল্লরা, লহনা, খুল্লনা,দুর্বলা দাসী ফুল্লরার সখী বিমলা ও  লহনার সখী লীলাবতী কেউই অস্পষ্ট নয়, কেউই গতানুগতিক নয়। খুল্লনার জননী রম্ভাবতী চিরন্তনী বাঙালি জননী। এই চরিত্রগুলির অন্তঃকরণের সুগভীর তলদেশ পর্যন্ত কবি দক্ষতার সঙ্গে উদ্ঘাটিত করেছেন। দু-একটি ভদ্র চরিত্র ছাড়া বাকি চরিত্রগুলি সবই কবির সহানুভূতির জীয়নকাঠির স্পর্শে জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/October22/article-3

Page No : 21 – 29

Published In :Volume 2, Issue 4

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License