Published Paper Details:

PRACHIN BHARATIYO SANGSKRIT OVILEKH SAHITTYE KOBIGON : AKTI SAMIKKHYA.

MANIKA HASHDA 

অভিলেখ, বৎসভট্টি, রবিকীর্তি, বাসুল, কাব্য, রীতি, ছন্দ, প্রশস্তি।  

প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য চর্চা ও পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে অভিলেখ সাহিত্যের গুরুত্ব অতুলনীয়। বিশেষতঃ এই সাহিত্য প্রবাহের কালানুসারী ইতিহাসের কাঠামো নির্মাণে অভিলেখের সাক্ষ্যই সম্ভবপর হয়েছে। সাহিত্যের কবিদের পরিচয় জানতে এবং কাব্যের সময় নির্ধারণ করতে অভিলেখের গুরুত্ব অসামান্য। বহুক্ষেত্রে দেখা যায় কাব্যগুলিতে লেখকের সময় বা কাব্যের রচনা কাল উল্লেখ থাকে না। সেই সমস্ত বিখ্যত কাব্যসমূহের সঠিক সময় নির্ধারণে অভিলেখই প্রমাণ করতে সহায়ক উপাদান।

            সাধারণত অভিলেখগুলি রাজা, মন্ত্রী, রাণী, কোনো সাধারণ মানুষের দ্বারা জারি করা হয়েছিল। অভিলেখের  রচয়িতারা একটি নির্দিষ্ট নমুনা অনুসরণ করে যা সাধারণত রাজার বংশতালিকা ধারণ করে। এখানে কবিরা তাদের সাহিত্য রচনায় দক্ষতা প্রকাশের যুযোগ পান। গুপ্তযুগের শুরুর দিকে অভিলেখগুলি গদ্য ও পদ্যের সমন্বয়ে রচিত হয়েছে। পরবর্তীতে পদ্যের ব্যবহারের বাহুল্য দেখা যায়। কবিরা অভিলেখগুলিতে বিভিন্ন বিষয় বর্ণনা করতে গিয়ে তাদের কাব্যিক দক্ষতা দেখানোয় তাঁরা পিছপা  হননি।

             যে কোনো যুগের অভিলেখ সাহিত্যকে সেই সময়ের সাহিত্য বিকাশের সূচক হিসাবে বলা যেতে পারে। যদিও সমস্ত অভিলেখগুলিতেই কবির পরিচিতি পাওয়া গিয়েছে তা নয়। তবে গুপ্ত যুগের বেশিরভাগ অভিলেখগুলিতেই কবি পরিচয় সেই অভিলেখতেই বলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কবি রাজা চন্দ্রের মেহরৌলি স্তম্ভলেখ রচনা করেছেন। এই স্তম্ভলেখে রাজা চন্দ্রের শৌর্যের বর্ণনা করতে গিয়ে কবি শ্লোকগুলিতে এমন সুন্দর মিশ্র অলংকারের প্রয়োগ করেছেন তা এককথায় অসাধারণ। আসলে অভিলেখ কবিদের নিয়ে কোনো শিক্ষাবিদ্‌গণ বা গবেষক পৃথকভাবে আলোচনার প্রয়াস করেন নি বলে মনে হয়। অভিলেখ কবিগণকে পরবর্তী অলংকারশাস্ত্রের কবিদের পূর্বসূরী বললে তেমন ভুল হয় না। কিন্তু সমস্ত অভিলেখ কবিই যে খুব সুন্দর সাবলীল, স্বচ্ছন্দ শব্দচয়ন, অলংকার প্রয়োগ করেছেন তা নয়, তবে বেশির ভাগ কবিই তাঁদের রচিত অভিলেখগুলিতে অবলীলাক্রমে ছন্দ, অলংকার ও ভাষার দক্ষতা প্রয়োগে তাঁদের কবিত্বশক্তি প্রমাণ করেছেন। বৈদর্ভী, গৌড়ী রীতি যে সমস্ত রীতি সপ্তম শতকের আলংকারিক আচার্য দন্ডী তাঁর আলোচনা করেছেন সেগুলি অভিলেখ কবিরা তাঁদের রচনায় অবলীলায় প্রয়োগ করেছেন। যে কোনো প্রথম শ্রেণীর কবিদের সঙ্গে অভিলেখ কবিদের এক আসনে বসার যোগ্য নিঃসন্দেহে বলা যায়।

           তাই প্রাচীন ভারতীয় অভিলেখ সাহিত্যে প্রশস্তি কবিদের সম্পর্কে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়। এই প্রবন্ধে কয়েকজন প্রশস্তি কবি বা অভিলেখের কবিদের সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/ October 22/article-34

Page No : 279-284

Published In :Volume 2, Issue 4

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License