Published Paper Details:
PURBO BARDHAMAN ZELAR JAMALPUR GRAMER BABA BURORAJ AJO SWAMOHIMAY.
DR. SUJIT KUMAR BISWAS
জামালপুর, বুড়োরাজ, বুদ্ধপূর্ণিমা, পূন্যার্থী, ঐতিহাসিক, নিত্যপূজা, ধর্মীয়বিশ্বাস, মেলা, স্থানমাহাত্ম্য।
পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর গ্রামের বুড়োরাজ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। পুজো দেয় হাজার হাজার পুণ্যার্থী। শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার বাবার মাথায় জল ঢালতে হাজির হন শয়ে শয়ে ভক্তরা। শতাব্দী প্রাচীন জাগ্রত এই মন্দিরে শ্রাবণের প্রতি সোমবারই প্রচুর পুণ্যার্থী পুজো দিতে আসেন। প্রসঙ্গত, জামালপুরের বুড়োরাজ মন্দির নিয়ে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। কথিত আছে, আনুমানিক ছ’শো বছর আগে এই অঞ্চল ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। সেই জঙ্গলে ছিল একটি উইয়ের ঢিপি। শোনা যায়, প্রতিদিন একটি গোরু সেই উইয়ের ঢিপির উপর এসে দাঁড়াত। আর আপনা থেকেই উইয়ের ঢিপির উপরে দুধ পড়ত। সেই গরুর মালিক যদু ঘোষ একদিন তার পিছু নিয়ে এই আশ্চর্য ঘটনা দেখে অবাক হয়েছিলেন। সেই রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন যে, ওখানেই দেবতার অধিষ্ঠান। পরদিন সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে শিবলিঙ্গ-গৌরীপট্ট সমেত পাথরের অদ্ভুত এক বিগ্রহ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু, হাজার চেষ্টা করেও সেই বিগ্রহের শেষ পাওয়া যায়নি বলে সেটি সরানো সম্ভব হয়নি। সেদিন রাতে যদু ঘোষ ফের এবং ওই গ্রামের এক ব্রাহ্মণ মধুসূদন চট্টোপাধ্যায় স্বপ্নাদেশ পান যে, সেই বিগ্রহটিকে ওই স্থান থেকে সরানো অসম্ভব। তাই সেখানেই তাঁকে প্রতিষ্ঠা করে নিত্যপুজোর ব্যবস্থা করতে চান। এরপর থেকেই বুড়োরাজ মন্দিরে মহাদেবের পুজো হয়ে আসছে। মন্দিরে ঢোকার মুখে এখন সুদৃশ্য তোরণ তৈরি হয়েছে। সেখানে শিবপার্বতী গণেশ এর মূর্তি সহ একদিকে সিংহ অপরদিকে ষাঁড়ের প্রতিকৃতি। কাছে যেতেই লক্ষ করা গেল প্রচুর পূজার বাটার দোকান, ফুল বেলপাতা, ফল, ছাঁচবাতসা, কলা, ধুতরা ফুল প্রভৃতি সহযোগে পূজার উপকরণ সাজানো হয়েছে। বহু মানুষ নিকটস্থ স্থানের ঘাট থেকে স্নান সেরে দণ্ডি কেটে মূল মন্দিরে আসছেন। মন্দিরের প্রবেশ পথ সরু। সেখানে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পৃথক পথের ব্যবস্থা। সেখানে ঘন্টা বাধা আছে। মন্দিরের গায়ে অনেক ফলক লাগানো আছে। সেখানে অনেকেই তাদের প্রিয়জনদের নাম লিখে রেখেছেন বাবা বুড়োরাজের মন্দিরের গায়ে। মন্দিরটি খড়ের চালা বিশিষ্ট। মাটির মেঝে। প্রাচীন বিশ্বাসে আজও মন্দিরের আধুনিক সংস্কার সাধিত হয় নি। অনেকেই গোপাল নিয়ে আসেন। সাধুদের মেলা বসে যায়। স্থানীয় গাছের অংশে পাথর বেঁধে রাখার চল আছে। কয়েকজন মহিলাকে দেখলাম তারা নিজেদের বাড়ির শিব নিয়ে এখানে পূজা দিয়েছেন এবং প্রদর্শন করে বসে আছেন। এক কথায় স্থানের মাহাত্ম্য ও বিশ্বাস এসব দৃশ্য দেখে অনেকটাই বেড়ে যায়।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/ October 22/article-48
Page No : 392-398
Published In :Volume 2, Issue 4
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848