Published Paper Details:

BANGLA CHOTO GALPE VICHITRA PESHA : PRASANGA BHAGIRAT MISHRER ‘SUBACHANI’.

ARJUN MAJHI

অন্ত্যজ, ভগীরথ মিশ্র, সুবচনী, মেজো খুড়ি, পুষ্করা বাউরি, মিহির দত্ত, গলা ফাটানো, ক্যানসার।

মানুষ নিজেকে ও নিজের পরিবারের সদস্যদের জীবন অতিবাহিত করার জন্যে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে যা করে থাকে সেটাই হল বৃত্তি বা পেশা। বাংলা সাহিত্যের আদি যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত রচিত সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় দরিদ্র অন্ত্যজ মানুষদের বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত ত্থাকতে দেখা গেছে। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পেশাগত দিক থেকেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। কথাসাহিত্যের ধারায় রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, তারাশঙ্কর, শৈলজানন্দ, অচিন্ত্যকুমার সেংগুপ্ত, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রমুখের পরবর্তী সময়ে আবির্ভূত সুবোধ ঘোষ, মহাশ্বেতা দেবী, রমাপদ চৌধুরী, ভগীরথ মিশ্র, সৈকত রক্ষিত, অনিল ঘড়াই প্রমুখ কথাসাহিত্যিকের হাতে অঙ্কিত অন্ত্যজ মানুষদের বৃত্তিগত ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য দেখা গেল অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে যেমন পতিতা বৃত্তির মতো হীন জীবিকা, দুধ পান করিয়ে সংসার চালানো, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কেঁদে অর্থ উপার্জন, বাঁদর মেরে অর্থ উপার্জন বা কাক মেরে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে সংসার চালাতে দেখা যায়। এরকমই একটি গল্প ভগীরথ মিশ্রের ‘সুবচনী’ যার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান পেয়েছে অন্যের হয়ে গালিগালাজ করে অর্থ উপার্জনের মতো একটি বিচিত্র পেশা। জীবনের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত হয়ে সুবচনী বাউরির গলায় ক্যন্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো মর্মান্তিক পরিণতির চিত্র অঙ্কিত হয়েছে গল্পটিতে। একই সঙ্গে তাতে অবিভক্ত মেদিনীপুরের একটা প্রত্যন্ত এলাকায় গল্পকারের জন্মগ্রহণ এবং সরকারি আধিকারিক হিসাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ফলে লব্ধ অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটেছে। 

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/ October 22/article-5

Page No :  35- 41

Published In :Volume 2, Issue 4

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License