Published Paper Details:

SRIMATI RIVER : THE ISSUE OF IDENTITY CRISIS.

DR. TAPAS PAL 

Climate change, Climate Crisis, Dead River.  

‘কেন মরে গেল নদী’ -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই নদী-চিন্তা আজ পৃথিবী ব্যাপী সত্য হতে চলেছে। নদী যেন মানুষের দেহের মতই। তার জন্ম আছে, বৃদ্ধি আছে, চলন আছে, ও মৃত্যুও আছে।১ তবে নদীর মৃত্যুর কারণ শুধুমাত্র প্রকৃতি বা ‘climate change’ নয়। সম্প্রতি একদিকে যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, তেমনি অন্যদিকে ‘climate crisis’, এর জন্য দায়ী। মানুষের ‘জল-লোভ’ ও জলকে আটকে রেখে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, অবাঞ্ছিত নদী বাঁধ, ব্যারেজ, কংক্রিটের রিজার্ভার একের পর এক নদীগুলিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নদীর উপর একের পর এক অবৈজ্ঞানিক ড্যাম তৈরি করে নদীর গতিপথকে আটকে দিয়ে নদীগুলিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বর্তমান সভ্যতার অবৈজ্ঞানিক নদী প্ল্যানিং। ১৯৩১ সালে ১লা মার্চ যখন কলোরাডো নদীর উপর হুভার ড্যাম৮ তৈরি হওয়া শুরু হয়েছিল আমেরিকাতে, তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই বাঁধের বিরোধিতা করেছিলেন ‘বিসর্জন’৯ নাটকের মধ্য দিয়ে। বর্তমানে মানুষের অতিরিক্ত জমিলোভের জন্য নদী এবং নদী প্লাবিত উর্বর জমিকে কৃষি জমি এমনকি বসত জমিতে রূপান্তর করে নদী চ্যানেলকে ও তার অববাহিকাকে ক্ষতি করে চলেছে। নদীর মাটি ও বালি মানুষের বাড়ি তৈরি করার জন্য একদিকে যেমন নদীর বুক থেকে মাটি ও বালি চুরি হয়ে চলছে, তেমনি নদীর দেহের উপর মাটি ও বালি মাফিয়ারা নদীর শরীরের উপর যেন অধিকার নিতে চলেছে। নদী অববাহিকার উপরে একের পর এক বিল্ডিং, মাটির খাদান, বালির খাদান ও কৃষি জমি তৈরি করে ফেলেছে। সম্প্রতি ভারতের যমুনা নদী, পশ্চিমবঙ্গের চূর্নি নদী, ও রাজস্থানের ঘাঘর নদী ‘Dead River’ হিসেবে প্রকাশ লাভ করেছে তেমনি কালীগঞ্জের শ্রীমতি নদী তার পরিচয় হারিয়ে ফেলেছে।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID :  tirj/ October 22/article-54

Page No : 450-454

Published In :Volume 2, Issue 4

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License