Published Paper Details:

SHREE KRISHNER BISHWARUP DARSHAN : AKTI PARJALOCHANA.

LAKSHMI SAHA

গীতা, শ্রীকৃষ্ণ, অর্জুন, বিশ্বরূপদর্শন, কর্তব্যকর্ম, ভক্তি, প্রেম, নিষ্ঠা

‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’ এমন একটি গ্রন্থ যার অধ্যয়নে মনে প্রগাঢ় শান্তি বিরাজ করে। জীবনের নানা জটিল সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান পাওয়া যায়। গীতার ১৮টি অধ্যায়ের মধ্যে একাদশ অধ্যায়ে বর্ণিত বিশ্বরূপদর্শনযোগ এখানে আলোচিত হয়েছে। কেন এই বিশ্বরূপ দেখালেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুনের মত আমরাও কতটা জ্ঞান আহরণ করতে পারলাম তারই সংক্ষিপ্ত আলোচনা এখানে করা হয়েছে। বিশ্বরূপের অর্থ হল বিশ্বের রূপ। সমগ্র ভুবনকে একত্রে এক স্থানে দর্শন করা এক প্রকার অসম্ভব। কিন্তু অসম্ভবও সম্ভব হতে পারে যদি অলৌকিক দিব্যশক্তির প্রভাব থাকে। এরকমই মহাজাগতিক শক্তির উদয় হয়েছিল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের তনুতে। কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে তিনি অসীম শক্তিধর মহাপুরুষে রূপান্তরিত হয়েছিলেন। দর্শন করিয়েছিলেন সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের ভয়ঙ্কর সুন্দর রূপ। যে রূপ বর্ণনার দ্বারা গীতার একাদশ অধ্যায় সমৃদ্ধ হয়েছে। অর্জুন যে রূপ প্রত্যক্ষ ভাবে দর্শন করেছিলেন, সেই রূপ যুগ যুগ ধরে মানবজাতি কল্পনার দৃষ্টিতে দর্শন করে চলেছে। এই রূপ দর্শনের যোগ্যতা সকলের থাকে না। প্রিয়সখা নরোত্তম অর্জুনের ছিল। অর্জুন ছিলেন স্থিতধী, লক্ষ্যে অবিচল, কর্তব্যপরায়ণ, নিষ্ঠাবান পুরুষ। তিনি যেমন শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তিপ্রবণ ছিলেন তেমনই অর্জুনের প্রতি শ্রীকৃষ্ণের ছিল সখ্যতা, ভক্তবত্সলতা। উভয়ের অনুভূতি মিলে তৈরী হয়েছিল এক অটুট বন্ধন। সম্পর্কের গভীরতা ছিল অকৃত্রিম। তাই সেই প্রিয় অর্জুনকে হতাশাগ্রস্থ দেখে, তাঁকে কর্তব্যচ্যূত হতে দেখে শ্রীকৃষ্ণ নিজেকে স্থির রাখতে পারেন নি। এমনই ভক্তপ্রেম, সখ্যপ্রেম। ভক্ত যখন বিপদে পড়ে কিংবা ভুল পথগামী হয়ে থাকে তখন ঈশ্বর ঢাল হয়ে তাঁকে রক্ষা করেন, তাঁকে সঠিক দিশাতে নিয়ে যান। অর্জুনের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। তাঁকে বিশ্বরূপ দর্শন করিয়ে শ্রীকৃষ্ণ এই সংসারের নিয়তি সম্পর্কে অবহিত করতে চেয়েছিলেন কারণ আমরা সকলেই নিয়তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। নিয়তির অমোঘ নিয়মকে খন্ডন করবার শক্তি কারোর নেই. অথচ অর্জুন সেই সৃষ্টির নিয়মকে লঙ্ন করার ব্যর্থ প্রয়াস করতে চাইছেন। যুদ্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি চরম ভুল করছেন। আর তাই ঈশ্বর তাঁকে বিশ্বরূপ দেখালেন যাতে তাঁর মধ্যে উদয় হয় বোধশক্তির। অবশেষে অর্জুনের চৈতন্যলাভ হল। আমরা সকলেই এই জগত্সংসারের নিমিত্তমাত্র. আমাদের ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছার উপর জগতের কোনো কার্য নির্ভর করে না। সর্বশক্তিমান বিধাতার ইচ্ছাতেই এই পৃথিবীর ভালো-মন্দ সকলই ঘটে থাকে। অতএব যুদ্ধ না করে সে যে তাঁর আপনজনদের বাঁচাতে চাইছে, তাঁরা সকলেই নিজ কর্মদোষে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা পূর্ব হতেই নিহত। অতএব অর্জুনের স্বধর্ম পালন করাই শ্রেয়, একজন বীর ক্ষত্রিয়ের ন্যায় তাঁর যুদ্ধ করা উচিত।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/ April23/article-2

Page No : 8 – 13

Published In :Volume 3, Issue 2

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License