Published Paper Details:

NALINI BERAR JIBON O NIRBACHITO SAHITTYA SADHANAR AKTI SAMIKSHA.

SUNITI SARKAR

নলিনী বেরা, উপন্যাস, শবর চরিত, অপৌরুষেয়, প্রচ্ছদ, অঙ্কন, পরিচ্ছেদ।

সৃষ্টির মধ্য দিয়ে স্রষ্টার পরিচয় হলেও স্রষ্টার জীবন বৃত্তান্তের পরিচয় জানাও আবশ্যক। কেননা স্রষ্টার জীবনচরিতের বহুকথাই আড়ালে সৃষ্টির মধ্যে লুকিয়ে থাকে। একজন লেখক সারাজীবন ধরে প্রকৃতপক্ষে নিজেকেই খনন করতে চান। একজন লেখকের নিজের সময়, যাপন ও চারপাশের স্থানিক পরিসর, ভূগোল সৃষ্টিক্ষেত্রে নানাভাবে উঁকি দেয়। কবিকে কবির জীবনচরিতে পাওয়া যাবে না এও যেমন সত্য তেমনি কবিত্বের অপেক্ষা কবিকে বোঝা গুরুতর সেও সত্য। নলিনী বেরা যে ভূগোলে বড় হয়ে উঠেছেন, আত্মজৈবনিক উপাদান যেভাবে সাহিত্যের নন্দনভুবনে তুলে এনেছেন, পারিবারিক পরিসর যেমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে অবগত হলে সৃষ্টিভুবন বুঝতে সহায়ক হয়। নলিনী বেরার সমস্ত আখ্যানে তিনি নিজেই যেন উপস্থিত, কখনও লনিনী/ ললিনী নামের অন্তরালে তিনি জননী জন্মভূমির প্রতিমা গড়ে তোলেন। তেমনি নলিনী বেরার পারিবারিক ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট, সুবর্ণরেখা তীরবর্তী জনজীবনের ভূগোল সম্পর্কে অবগত হলেই স্পষ্ট হবে লেখক কেন সেই ভুবন বারবার ক্লান্তিহীনভাবে গড়ে তোলেন। আধুনিক বাংলা সাহিত্য জগতে নলিনী বেরা এক অসাধারণ প্রতিভা। তাঁর জন্ম এক সাধারণ দরিদ্র কৃষক পরিবারে। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫২ খ্রীষ্টাব্দের ২০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা সীমান্তের কাছাকাছি সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী জঙ্গলাকীর্ণ ভুঁইঞা-ভূমিজ-সাঁওতাল-লোধা-কামহার অধ্যুষিত ‘বাছুর খোয়াড়’ গ্রামে। তাঁর পিতার নাম গিরিশচন্দ্র বেরা ও মাতার নাম ঊর্মিলা দেবী। একজন লেখক যে জনপদ থেকে উঠে আসেন, তার লেখালেখিতে সেই ছাপ পরে। তারপর পরবর্তী সময়ে লেখক যখন পরিণত হন, তখন তার লেখার মধ্যে শৈশবটাই বেশী করে থাকে- শৈশব মানেই একটা বৃহৎ ওর জীবন ও সত্ত্বা যেটা তাঁর শৈশব যেটা অনেক বড় এবং মনে করা হয় যে লেখকের শৈশব যত বড় সে তত বড় লেখক।

             নলিনী বেরার প্রথম উপন্যাস ‘ভাসান’। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় ‘দুই ভুবন’ গ্রন্থখানি। এই গ্রন্থে দুটি উপন্যাস রয়েছে ‘ভাসান’ ও ‘ভাসমান’। প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন রঞ্জন দত্ত।  নলিনী বেরার স্মরণীয় উপন্যাস ‘শবর চরিত’ উপন্যাস প্রকাশিত হয় ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে। এখনও পর্যন্ত নলিনী বেরার আখ্যানভুবনে সর্বাধিক পৃষ্ঠা সংখ্যার উপন্যাস ‘শবর চরিত’।  ‘অপৌরুষেয়’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে। প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন দেবাশিস সাহা। গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন দেবেশ রায়কে। উপন্যাসটি ছয়টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত, প্রতিটি পরিচ্ছেদ আবার উপ পরিচ্ছেদে সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত। নলিনী বেরার ‘কুসুমতলা’ গল্পগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে। প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন দেবাশিস রায়। গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন সহলেখক ঝড়েশ্বর চট্টোপাধ্যায়কে। নলিনী বেরার ‘পাঁচকাহানিয়া’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ২০২১ খ্রিস্টাব্দে। প্রচ্ছেদ অঙ্কন করেন দেবাশিস সাহা। গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন ‘দে’জ পাবলিশিং’এর শুভঙ্কর দে’কে। উপন্যাসটি ছয়টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। লেখক জানিয়েছেন ‘পাঁচকাহানিয়া’ কোনো গ্রামের নাম নয়, এটি একটি জঙ্গল।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/ April23/article-26

Page No : 180-192

Published In :Volume 3, Issue 2

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License