Published Paper Details:
BANGLAR PRAHASANE PRASCHYATTYA PRAVAB.
JAYITA BASAK
বাংলার নবজাগৃতি, ইউরোপীয় রেনেসাঁস, বুদ্ধিজীবী শ্রেণী, সাংস্কৃতিক বিকাশ, সামাজিক পরিবর্তন, প্রহসন, মলিয়্যার।
বাংলার নবজাগৃতিকে আমরা সাধারণত ইউরোপীয় রেনেসাঁসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতেই ভালবাসি। নবজাগৃতির ফলে ইউরোপে চতুর্দশ-পঞ্চদশ-ষোড়শ শতকে যে অভূতপূর্ব জীবন উল্লাসের সমারোহ দেখি, তার হুবহু প্রতিফলন বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিকাশে অনুসন্ধান করে পরিতৃপ্ত হই। ইউরোপীয় রেনেসাঁসের মূল কথাই হল সামন্ততন্ত্রকে ধ্বংস করে বুর্জোয়া সমাজব্যবস্থা ও নানা গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার উদ্ভব। সমাজে নতুন শ্রেণীবিন্যাস হয়েছে। ইউরোপীয় রেনেসাঁসের কতগুলো বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল – অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, (সাহিত্য, শিল্পকলা, সঙ্গীত প্রভৃতি) নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছিল। পুরোনো শ্রেণীবিন্যাসকে পরিবর্তিত করে এই নতুন বিন্যাস সহজে লাভ হয়নি। কোনো দেশেই অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তিত করা সহজ ব্যাপার নয়। বাংলা নাটকের রূপান্তর হচ্ছিল ধীরে ধীরে। একদিকে যেমন নাট্য জগতের কিছু ঘটনা প্রবাহ সৌখিন নাট্যশালার পালা শেষ করে পেশাদার মঞ্চ যুগের সূত্রপাত করেছিল, অন্যদিকে বাংলার সামাজিক জীবনে চিন্তাধারায় পরিবর্তনের ফলে নাট্য রচনার ক্ষেত্রেও পালাবদলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। রেনেসাঁসের এই বিশেষত্বগুলো বাঙালীর পক্ষে করায়ত্ব করা সম্ভব ছিলো না। কিন্তু আমাদের বুদ্ধিজীবী শ্রেণী দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনের জন্য বিশেষ কোনো আন্দোলনে নামেনি, একথা কিন্তু বলা চলে না (যেমন নীলবিদ্রোহ)। এই সময়ের বাঙালীর চিন্তা বা উদ্যমের প্রায় সমস্তটাই ব্যয় হয়েছিল সমাজসংস্কার, ধর্মান্দোলন ও শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে। বাঙালী নবজাগৃতি কিছু কিছু ক্ষেত্রে যথার্থই প্রচুর পরিবর্তন এনেছিল – তার মধ্যে বাঙালীর রচিত সাহিত্য তথা নাট্যসাহিত্য এই পরিবর্তনের স্বাক্ষরবাহী । প্রথম অভিনীত মৌলিক বাংলা নাটক – ‘কুলীন কূলসর্বস্ব’ (রামনারায়ণ তর্করত্ন) প্রসহন। প্রহসনই সম্ভবত বাংলা নাট্যসাহিত্যের একমাত্র ভাগ বা শ্রেণী যা প্রত্যেক শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের প্রতিভাস্পর্শ লাভ করেছে। প্রতীচ্য নাট্য সাহিত্যের ইতিহাসে প্রহসনের সূত্রপাত অনেক আগে। সপ্তদশ শতকে ট্র্যাজেডি আর কমেডি নাট্য সাহিত্য এমন ভাবে অবস্থান করছে যেন একই মুদ্রার দু’দিক। ফ্রান্সের শ্রেষ্ঠ কমেডি লেখক (Molière) মলিয়্যার এবং ট্র্যাজেডি লেখক রাসিন (Racine) ছিলেন সমসাময়িক।
Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL
Paper ID : tirj/ April23/article-37
Page No : 284-290
Published In :Volume 3, Issue 2
DOI (Digital Object Identifier) :
E ISSN : 2583-0848