Published Paper Details:

PANINIYA VYAKARAN O MUGDHYABODH VYAKARANER ALOKE ACH SANDHIR SUTRA SAMUHER AKTI TULANAMULAK SAMIKSHA.

DIPANJAN CHAKRABORTY

Mugdhabodha Vyākaraṇa, Pāṇinīya Vyākaraṇa, Ac Sandhi.

সংস্কৃত ব্যাকরণ শাস্ত্রের আকাশে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হলেন আচার্য পাণিনি। তবে পাণিনির সমকালে ও পাণিনির পরবর্তীযুগে এদেশে বহূরকমের ব্যাকরণ প্রচলিত ছিল। তেমনি বঙ্গদেশে প্রচলিত বোপদেব বিরচিত মুগ্ধবোধ-ব্যাকরণ অপাণিনীয় ব্যাকরণ গ্রন্থগুলির মধ্যে অন্যতম। যদিও পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণই মুগ্ধবোধ-ব্যাকরণের ভিত্তি, মুগ্ধবোধ-ব্যাকরণের সূত্রগুলিও অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণের সূত্রগুলির সরলীকৃত রূপায়ণ বিশেষ। পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী ও বোপদেব বিরচিত মুগ্ধবোধ-ব্যাকরণের অচ্-সন্ধির সূত্রালোচনাপূর্বক একটি তুলনামূলক তথ্যোপস্থাপন করা যেতে পারে এই শোধপত্রে।

         পাণিনি তার অষ্টাধ্যায়ী গ্রন্থে ‘অকঃ সবর্ণে দীর্ঘঃ’ (৬.১.১০১) এই সূত্রটি করেছেন। এই বিষয়ে বোপদেব পাণিনিকে অনুসরণ করেছেন। এই বিষয়ে বোপদেবের মুগ্ধবোধ-ব্যাকরণের সূত্রটি হল ‘সহ র্ণে র্ঘঃ’ (১.২.২২)। সূত্রদুটির রূপগত বৈসাদৃশ্য থাকলেও অর্থগত পুরোপুরি সাদৃশ্য রয়েছে। অর্থাৎ সবর্ণ পরে থাকলে, পর সবর্ণের সঙ্গে পূর্ব সবর্ণের দীর্ঘ একাদেশ হয়। যেমন- লক্ষ্মীশঃ। লক্ষ্মী ঈশঃ এই রূপে পদের বিশ্লেষ করলে লক্ষ্মী পদের শেষ ঈ-কার এবং ঈশঃ পদের প্রথম ঈ-কার এই দুই মিলে দীর্ঘ ঈ-কার হল এবং লক্ষ্মীশঃ এরূপ স্থিতি হল। আবার পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী গ্রন্থে ‘আদ্ গুণঃ’ (৬.১.৮৭) ও  ‘বৃদ্ধিরেচি’ (৬.১.৮৮) এই দুই সূত্র-ও দেখা যায়। কিন্তু এই বিষয়ে বোপদেব মুগ্ধবোধ-ব্যাকরণে একটি সূত্রের অবতারনা করে পাণিনির দুটি সূত্রের অর্থকে একটি সূত্রে রূপান্তরিত করেছেন, সূত্রটি হল- ‘আদিগেচোর্ণুব্রী’ (১.২.২৩)। অর্থাৎ অ-কার এবং আ-কারের পর ইক্ (ই, উ, ঋ, ৯) এবং এচের (এ, ও, ঐ, ঔ) যথাক্রমে গুণ এবং বৃদ্ধি হয়। যথা- মাধব+ঋদ্ধি= মাধবর্দ্ধি( গুণ)।আবার পাণিনীয় ব্যাকরণে একটি সূত্র পাওয়া যায়- ‘সর্বত্র বিভাষা গোঃ’ (৬.১.১২২)। এ বিষয়ে মুগ্ধবোধ-ব্যাকরণে বোপদেব রূপের সংক্ষিপ্তকরণের দ্বারা একটি পৃথক সূত্র চয়ন করেছেন- ‘গোর্বা’ (১.২.৩৯)। এই দুই সূত্রের রূপগত বৈষম্য থাকলেও অর্থগত পুরোপুরি সাদৃশ্য আছে। আবার বোপদেব শুধু পাণিনিকেই অনুসরণ করেন নি, বার্ত্তিককার কাত্যায়নকেও অনুসরণ এবং অনুকরণ করেছেন। কিন্তু কিছু স্বতন্ত্রতা লক্ষ্য করা যায় বোপদেবের মুগ্ধবোধ-ব্যাকরণে। যেমন- ‘এবে চানিয়োগে’ (বার্ত্তিক ৩৬৩১) এই বার্ত্তিকটিকে বোপদেব অনুসরণ এবং অনুকরণ করলেও পররূপ একাদেশকে কোনো ভাবেই স্বীকার করেন নি তাঁর মুগ্ধবোধব্যাকরণে। এবিষয়ে বোপদেবের সূত্রটি হল ‘এবে ’নিয়োগে’ (১.২.২৭)। অর্থাৎ এব শব্দ পরে থাকলে পূর্বপদস্থিত অন্তিম অ-বর্ণের লোপ হয়, এব শব্দের নিয়োগ অর্থ হলে হয় না। নিয়োগ না বোঝালে অ-কারের পর এব শব্দ থাকলে অ-বর্ণের লোপ হয়। নিয়োগ শব্দের অর্থ অবধারণ। যথা- অদ্য এব, অদ্যেব। অর্থাৎ বোপদেব পররূপ একাদেশ স্বীকার না করে অদ্যেব-তে অদ্য-এর অন্তিম অ-কারের লোপ করে অদ্যেব পদটি সিদ্ধ করেছেন। এবিষয়ে বোপদেবের স্বতন্ত্রতা লক্ষ্য করা যায়। পাণিনীয় ব্যাকরণে ‘শকন্ধ্বাদিষু পররূপম্ বাচ্যম্’ (বার্ত্তিক ৩৬৩২) এই বার্ত্তিকটি আছে। এই বার্ত্তিকটির অনুসরণে বোপদেব ‘মনীষাঃ’ (১.২.৩৪) - এই সূত্রটি চয়ন করেন। সূত্রদুটির যেমন রূপতাত্ত্বিক বৈষম্য রয়েছে তেমন বক্তব্যের দিক থেকেও পুরোপুরি সাদৃশ্য নেই। এখানেও পররূপ একাদেশকে কোনো ভাবেই স্বীকার করেন নি বোপদেব তাঁর মুগ্ধবোধ-ব্যাকরণে।

         উপরিউক্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পাণিনিকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বোপদেব শুধু অনুসরণ করেছেন এবং কিছু স্বতন্ত্রতারও উল্লেখ করেছেন বোপদেব তাঁর মুগ্ধবোধব্যাকরণে। উভয়ের অচ্-সন্ধির তুলনাত্মক বিশ্লেষণই এই শোধপত্রের মুখ্য উদ্দেশ্য।

Journal : TRISANGAM INTERNATIONAL REFEREED JOURNAL

Paper ID : tirj/ April23/article-39

Page No : 305-311

Published In :Volume 3, Issue 2

DOI (Digital Object Identifier) : 

E ISSN : 2583-0848

Creative Commons Attribution 4.0 International License